কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রোপা আমন ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবারসকাল ৯টায় আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণ কর্মসচির আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এ মৌসুমে উপজেলার ১২০০জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে । তার মধ্যে আজ উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৪১০জন কৃষককে দেওয়া হয়। বাকিদের পর্যায় ক্রমে দেওয়া হবে। এসব বীজ প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে বপন করা হবে। এছাড়াও উপজেলার ৪০জন কৃষককে পেঁয়াজের ১ কেজি বীজ, ৫০মিলি ছত্রাকনাশক, ৫০ মিলি কীটনাশক, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এসব বীজ প্রায় ৫.৩ হেক্টর জমিতে বপন করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোকছেদ আলী মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনিরা সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোকছেদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরাফাত সুলতানা ফেরদৌসী প্রমুখ।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা বলেন, প্রকৃত পক্ষে যাদের ১বিঘা, ১০কাঠা জমি রয়েছে তারাই কৃষক। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই গণভবনে খামার করেছেন। সেখানে সব মৌসুমের ফসল চাষ করেন। তিনি প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ২দিন সেই খামারে যান। নিজের হাতে হাঁস মুরগী মাছকে খাবার দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাছ লাগান ও এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখবেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল আমনধানের চাষ সম্প্রসারণের জন্য এ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।