দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল অতিভারী বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির বিস্তার ও অবনতি হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে সাত জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বানের পানিতে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া, হাতিয়া ও চিলমারি, যমুনার পানি সাঘাটায়, সুরমার পানি কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেরপুর-সিলেট, মারকুলি ও শেওলায়, মনু’র পারি মনু রেলব্রিজ ও মৌলভীবাজারে, খোয়াইয়ের পানি বল্লা ও মৌলভীবাজার এবং সুমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভুগাই ও কংস নদীগুলোর পানির সমতল কমেছে, অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বেড়েছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নাগাদ জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী সংলগ্ন কতিপয় পয়েন্টে পানির সমতল বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১১০টি স্টেশনের মধ্যে বুধবার পানির সমতল বেড়েছে ৮৩টিতে, কমেছে ২৭টিতে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে ১৬ স্টেশনের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।