০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়া একই পরিবারের ৭ জন নিখোঁজ

  • আপডেট: ০৫:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • 24

বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে এক পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭ জন চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া। গত ৩ জুলাই দুপুরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ হন তারা।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন, জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), যমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি ও শ্যালক-শ্যালিকা বসবাস করতেন। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার দোকান পরিচালনা করেন।

জীবন মিয়া বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে গিয়ে দেখি বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শাশুড়ির ফোন বাসায় রেখে গেছেন। পরনের কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নিয়ে সেখানেও সন্ধান পাইনি।

এ বিষয়ে নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফাতেমা বেবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করি। তখন জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে জিডির ব্যবস্থা করা হয়। এক সঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বগুড়া একই পরিবারের ৭ জন নিখোঁজ

আপডেট: ০৫:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে এক পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭ জন চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া। গত ৩ জুলাই দুপুরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ হন তারা।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন, জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), যমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি ও শ্যালক-শ্যালিকা বসবাস করতেন। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার দোকান পরিচালনা করেন।

জীবন মিয়া বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে গিয়ে দেখি বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শাশুড়ির ফোন বাসায় রেখে গেছেন। পরনের কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নিয়ে সেখানেও সন্ধান পাইনি।

এ বিষয়ে নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফাতেমা বেবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করি। তখন জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে জিডির ব্যবস্থা করা হয়। এক সঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।