সিরাজগঞ্জে বন্যা কবলিত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট চরমে

  • আপডেট: ০৬:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • 33

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। জেলায় বন্যা কবলিত অবস্থায় রয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার কমে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর বসতবাড়ির পানি নেমে না যাওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর গো-খাদ্যের সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে।

কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক বলেন, যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এ অঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আশপাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই বাড়ির মধ্যে হাঁটু পানিতেই বসবাস করছেন। বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা ছাড়াও গবাদি পশুপাখি রাখার স্থান ও গো-খাদ্য, স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এ দিকে কাজীপুর মাইজবাড়ি ইউনিয়নের শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্কে আশ্রয় নেওয়া গবাদি পশুর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তেমনভাবে কোনো গো-খাদ্যের সহায়তা পাওয়া যায়নি। উচ্চ মূল্যে খড় কিনে একবেলা, কোনো দিন দুবেলা খাবার দিচ্ছেন। চারদিক পানিতে নিমজ্জিত থাকায় প্রাকৃতিক কোনো খাবার জোগাড় করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনায় পানি কমা অব্যাহত থাকবে। এ মুহূর্তে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল

Tag :

সিরাজগঞ্জে বন্যা কবলিত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট চরমে

আপডেট: ০৬:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। জেলায় বন্যা কবলিত অবস্থায় রয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার কমে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর বসতবাড়ির পানি নেমে না যাওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর গো-খাদ্যের সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে।

কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক বলেন, যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এ অঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আশপাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই বাড়ির মধ্যে হাঁটু পানিতেই বসবাস করছেন। বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা ছাড়াও গবাদি পশুপাখি রাখার স্থান ও গো-খাদ্য, স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এ দিকে কাজীপুর মাইজবাড়ি ইউনিয়নের শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্কে আশ্রয় নেওয়া গবাদি পশুর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তেমনভাবে কোনো গো-খাদ্যের সহায়তা পাওয়া যায়নি। উচ্চ মূল্যে খড় কিনে একবেলা, কোনো দিন দুবেলা খাবার দিচ্ছেন। চারদিক পানিতে নিমজ্জিত থাকায় প্রাকৃতিক কোনো খাবার জোগাড় করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনায় পানি কমা অব্যাহত থাকবে। এ মুহূর্তে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল