০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীরা অপমানজনক জীবনের চাইতে সাহস দেখিয়ে মরতে রাজি ছিল: মান্না

  • আপডেট: ০২:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 11

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তনের ধারার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন পরিবর্তিত ধারাকে বোঝা এবং সবার সাথে থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনকে ধারণ করা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীবন বাজি রাখার প্রবণতা কোথা থেকে তৈরি হলো তা বুঝতে হবে। তারা যা করতে পেরেছে, তা রাজনৈতিক দলগুলো পারেনি। তারা ক্লান্তিকর, অপমানজনক জীবনের চাইতে সাহস দেখিয়ে মরতে রাজি ছিল। ওই সাহস দেখিয়ে তারা জিতেছে।

মান্না বলেন, ওদের কথা স্পষ্ট, আমরা পুরোনো ধারা দেখতে চাই না, নতুন জিনিস দেখতে চাই। সুতরাং আপনার দৃষ্টিটাও সে রকম করতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তনশীল প্রবাহের সাথে মেলাতে হবে। আগের কালচার দিয়ে হবে না।

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের সাথে বায়ান্ন, ঊনসত্তর কিংবা এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কোনো মিল নেই মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এটি এমন একটা আন্দোলন, যার কোনো নেতৃত্বই নেই, কাঠামো নেই, কিন্তু আন্দোলন হয়েছে এবং তারা জিতেছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়া উচিত উল্লেখ করে মান্না বলেন, ড. ইউনুস বলেছেন, দেশ গড়া একটি রাজনৈতিক বিষয়। দেশটাকে যে রাজনৈতিকভাবেও সাজাতে হয়, এই বিষয়টা নিয়ে তাদের কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। প্রশাসন ও অন্যান্য বিষয়গুলো সাজাতে তাদের সময় লাগতে পারে। এখানে একটি রাজনৈতিক সরকার হলেও সময় লাগতো। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবেন, তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট করে অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কথা বলে যতটুকু সম্ভব ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন। আবারও যাতে স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য সংবিধানের সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের যে অংশ স্বৈরাচারকে স্থায়ী হবার সুযোগ দেয়, তার পরিবর্তন জরুরি।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান খসরু ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবির এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষার্থীরা অপমানজনক জীবনের চাইতে সাহস দেখিয়ে মরতে রাজি ছিল: মান্না

আপডেট: ০২:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তনের ধারার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন পরিবর্তিত ধারাকে বোঝা এবং সবার সাথে থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনকে ধারণ করা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীবন বাজি রাখার প্রবণতা কোথা থেকে তৈরি হলো তা বুঝতে হবে। তারা যা করতে পেরেছে, তা রাজনৈতিক দলগুলো পারেনি। তারা ক্লান্তিকর, অপমানজনক জীবনের চাইতে সাহস দেখিয়ে মরতে রাজি ছিল। ওই সাহস দেখিয়ে তারা জিতেছে।

মান্না বলেন, ওদের কথা স্পষ্ট, আমরা পুরোনো ধারা দেখতে চাই না, নতুন জিনিস দেখতে চাই। সুতরাং আপনার দৃষ্টিটাও সে রকম করতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তনশীল প্রবাহের সাথে মেলাতে হবে। আগের কালচার দিয়ে হবে না।

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের সাথে বায়ান্ন, ঊনসত্তর কিংবা এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কোনো মিল নেই মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এটি এমন একটা আন্দোলন, যার কোনো নেতৃত্বই নেই, কাঠামো নেই, কিন্তু আন্দোলন হয়েছে এবং তারা জিতেছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়া উচিত উল্লেখ করে মান্না বলেন, ড. ইউনুস বলেছেন, দেশ গড়া একটি রাজনৈতিক বিষয়। দেশটাকে যে রাজনৈতিকভাবেও সাজাতে হয়, এই বিষয়টা নিয়ে তাদের কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। প্রশাসন ও অন্যান্য বিষয়গুলো সাজাতে তাদের সময় লাগতে পারে। এখানে একটি রাজনৈতিক সরকার হলেও সময় লাগতো। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবেন, তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট করে অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কথা বলে যতটুকু সম্ভব ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন। আবারও যাতে স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য সংবিধানের সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের যে অংশ স্বৈরাচারকে স্থায়ী হবার সুযোগ দেয়, তার পরিবর্তন জরুরি।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান খসরু ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবির এসময় উপস্থিত ছিলেন।