আগামী ১০ জুনের মধ্যে ঈদুল আজহার বোনাস, মে মাসের পূর্ণ বেতন এবং ওভারটাইমসহ পোশাকশ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
শনিবার (০১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতারা বলেন, ঈদসহ সকল উৎসব শ্রমিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ প্রতিবার পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার জন্য পোশাকশ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ছুটির দিনে জেনারেল ডিউটি করাসহ বোনাস ঠিকমতো পান না। প্রতিবার এই সংকট দেখা যায়। এবার যাতে পোশাকশ্রমিকরা ১০ জুনের মধ্যে পূর্ণ বেতন, বেসিকের সমান বোনাস এবং ওভারটাইমসহ সকল পাওনা পান তার জন্য মালিকপক্ষ ও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
শ্রমিকনেতারা বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ ভাগ আসে এই শ্রমিকদের হাত ধরে। অথচ বছরে দুটি ঈদে প্রায়শই তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক কারখানায় বোনাস সময়মতো দেওয়া হয় না। উল্টো বোনাসের দাবিতে প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্যাতন। কোথাও কোথাও বেসিকের সমান বোনাস না দিয়ে লামসাম হাতে ধরিয়ে দেয়। শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের এই অবহেলা দেখে মনে হয়, পরিবার পরিজন নিয়ে শ্রমিকের ঈদ করার অধিকার নেই!
নেতৃবৃন্দ আরেও বলেন, একদিকে বেতন-বোনাস নিয়ে টালবাহানা অন্যদিকে শ্রমিকদের ছুটি শেষ মুহূর্তে দিয়ে শ্রমিকদের ঈদ আনন্দ মাটি করা হয়। শ্রমিকরা পরিবার পরিজন সন্তানদের জন্য নতুন কাপড়, বিশেষ খাবার কেনার সময়-সুযোগটুকু পান না। তাই এবার শ্রমিকদের ঈদে স্বস্তি দিতে জুনের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন-বোনাস-ওভারটাইমসহ সকল পাওনা দ্রুত পরিশোধ করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, ঈদ এলে পরিবহনে নৈরাজ্য শুরু হয়, ভাড়া দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে যায়। শ্রমিকরা তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ ট্রাকে, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ ট্রেনের ছাদে, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ কায়দায় কম খরচে বাড়িতে যান। সরকারের কাছে পরিবহনের নৈরাজ্য দূর করে ভাড়া নিয়ন্ত্রণের ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।