আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দুই আইনজীবীর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

  • আপডেট: ০৫:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • 21

আইনজীবী মহসীন রশিদ ও শাহ বাদল

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া একটি চিঠির কিছু বক্তব্য বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। এ বিষয়ে আদেশ আগামী ২১ জুলাই দেওয়া হবে।

রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ আদেশের এই দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশীদ ও আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ওই দুই আইনজীবী চিঠি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিটি পরে প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ (সুয়ো মোটো) স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে সুপ্রিম কোর্টের ওই দুই আইনজীবীকে তাদের চিঠির বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন। সে তলবে হাজির হলে গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এই দুই আইনজীবীকে আগামী চার সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

Tag :

আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দুই আইনজীবীর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

আপডেট: ০৫:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া একটি চিঠির কিছু বক্তব্য বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। এ বিষয়ে আদেশ আগামী ২১ জুলাই দেওয়া হবে।

রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ আদেশের এই দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশীদ ও আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ওই দুই আইনজীবী চিঠি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিটি পরে প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ (সুয়ো মোটো) স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে সুপ্রিম কোর্টের ওই দুই আইনজীবীকে তাদের চিঠির বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন। সে তলবে হাজির হলে গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এই দুই আইনজীবীকে আগামী চার সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।