ভারী বর্ষণে ডুবেছে সড়ক

সাজেকে যান চলাচল বন্ধ, ৪৬৫ পর্যটক আটকা

  • আপডেট: ০৮:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • 33

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ি–সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারা দেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আটকে পড়েছে ৪৬৫ পর্যটক। এরই মধ্যে তাঁদের থাকার জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে রিসোর্ট ভাড়া।

সাজেক কর্টেজ ও মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাইথোয়াই অং চৌধুরী (জয়) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাজেক সড়কে পানি কমতে একদিন সময় লাগবে। সাজেকে ৪৬৫ জন পর্যটক আটকে আছে। পর্যটকদের থাকার জন্য রিসোর্টের ভাড়া কমানো হয়েছে। কোন রিসোর্ট রুম প্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকার বেশি ভাড়া আদায় করতে পারবে না।’

এদিকে, খাগড়াছড়ির আলুটিলায় সড়ক ধসে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কের মাটি সরিয়ে নেওয়ার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে যান চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন।

রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল ব্যাহতরাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল ব্যাহত
এছাড়া, দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘গতকাল রাতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মেরুং ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মেরুংয়ের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’

Tag :

ভারী বর্ষণে ডুবেছে সড়ক

সাজেকে যান চলাচল বন্ধ, ৪৬৫ পর্যটক আটকা

আপডেট: ০৮:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ি–সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারা দেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আটকে পড়েছে ৪৬৫ পর্যটক। এরই মধ্যে তাঁদের থাকার জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে রিসোর্ট ভাড়া।

সাজেক কর্টেজ ও মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাইথোয়াই অং চৌধুরী (জয়) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাজেক সড়কে পানি কমতে একদিন সময় লাগবে। সাজেকে ৪৬৫ জন পর্যটক আটকে আছে। পর্যটকদের থাকার জন্য রিসোর্টের ভাড়া কমানো হয়েছে। কোন রিসোর্ট রুম প্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকার বেশি ভাড়া আদায় করতে পারবে না।’

এদিকে, খাগড়াছড়ির আলুটিলায় সড়ক ধসে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কের মাটি সরিয়ে নেওয়ার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে যান চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন।

রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল ব্যাহতরাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল ব্যাহত
এছাড়া, দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘গতকাল রাতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মেরুং ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মেরুংয়ের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’