মার্কিন জোট ইয়েমেনের কাছে চরম মার খাচ্ছে ‘ফরেন পলিসি

  • আপডেট: ০৯:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • 26

সোমবার প্রকাশিত নিবন্ধে ম্যাগাজিনটি লিখেছে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন নৌ-জোটের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হচ্ছে- সানার বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার। পর্যাপ্ত গোলাবারুদের অভাবে মার্কিন জোট ইয়েমেনের কাছে চরম মার খাচ্ছে।

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীকে মোকাবেলা করে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন নৌবাহিনী ও তার মিত্ররা ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আমেরিকার ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিন।

পার্সটুডে জানিয়েছে, সামরিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই মার্কিন ম্যাগাজিনটি আরও লিখেছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী তাদের আশ্চর্যজনক ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে এবং তারা ব্যাপক সক্রিয়। একই সাথে, তাদের কাছে একটি বড় অস্ত্রাগার রয়েছে যা পশ্চিমা নৌজোটের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে আমেরিকা-ব্রিটিশ নৌ জোট এবং তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ফরেন পলিসি লিখেছে, আমেরিকার নৌবাহিনী এবং তার মিত্ররা লোহিত সাগরে কয়েক মাস ধরে ব্যাপক নৌ অভিযানের চালিয়েছে। কিন্তু লোহিত সাগরকে সুরক্ষিত করতে তো পারেইনি বরং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ফরেন পলিসি স্বীকার করেছে যে, সানার হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র ইসরাইল বা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থনকারী দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইয়েমেনে হামলাকারী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলো।

ফরেন পলিসি জানিয়েছে যে, মার্কিন নৌবাহিনী এবং দেশটির সামরিক শিল্প সংস্থাগুলো বিশেষ করে ‘রেথিয়ন’ ইয়েমেনি অস্ত্রের মোকাবেলায় সস্তা অস্ত্র সরবরাহের উপায় খুঁজছে।

অন্যদিকে, আমেরিকান ওয়েবসাইট ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এক প্রতিবেদনে ইয়েমেনের মনুষ্যবিহীন নৌযান বা ড্রোন বোটের বিপুল ক্ষমতার কথা স্বীকার করে লিখেছে, এগুলোর মধ্যে কিছু যান সত্যিই অসাধারণ ও অনন্য। লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীর যেহেতু ঘাটতি রয়েছে সে কারণে ইয়েমেনি ড্রোনগুলো ইসরাইলের বন্দরগুলোর দিকে যাওয়া জাহাজের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি, আরব সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরাইলের মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সামরিক বাহিনী।

তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, দখলদার ইসরাইল যতদিন গাজাবাসী নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাবে ততদিন লোহিত সাগর ও আরব সাগরে তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।

Tag :

মার্কিন জোট ইয়েমেনের কাছে চরম মার খাচ্ছে ‘ফরেন পলিসি

আপডেট: ০৯:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সোমবার প্রকাশিত নিবন্ধে ম্যাগাজিনটি লিখেছে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন নৌ-জোটের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হচ্ছে- সানার বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার। পর্যাপ্ত গোলাবারুদের অভাবে মার্কিন জোট ইয়েমেনের কাছে চরম মার খাচ্ছে।

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীকে মোকাবেলা করে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন নৌবাহিনী ও তার মিত্ররা ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আমেরিকার ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিন।

পার্সটুডে জানিয়েছে, সামরিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই মার্কিন ম্যাগাজিনটি আরও লিখেছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী তাদের আশ্চর্যজনক ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে এবং তারা ব্যাপক সক্রিয়। একই সাথে, তাদের কাছে একটি বড় অস্ত্রাগার রয়েছে যা পশ্চিমা নৌজোটের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে আমেরিকা-ব্রিটিশ নৌ জোট এবং তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ফরেন পলিসি লিখেছে, আমেরিকার নৌবাহিনী এবং তার মিত্ররা লোহিত সাগরে কয়েক মাস ধরে ব্যাপক নৌ অভিযানের চালিয়েছে। কিন্তু লোহিত সাগরকে সুরক্ষিত করতে তো পারেইনি বরং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ফরেন পলিসি স্বীকার করেছে যে, সানার হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র ইসরাইল বা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থনকারী দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইয়েমেনে হামলাকারী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলো।

ফরেন পলিসি জানিয়েছে যে, মার্কিন নৌবাহিনী এবং দেশটির সামরিক শিল্প সংস্থাগুলো বিশেষ করে ‘রেথিয়ন’ ইয়েমেনি অস্ত্রের মোকাবেলায় সস্তা অস্ত্র সরবরাহের উপায় খুঁজছে।

অন্যদিকে, আমেরিকান ওয়েবসাইট ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এক প্রতিবেদনে ইয়েমেনের মনুষ্যবিহীন নৌযান বা ড্রোন বোটের বিপুল ক্ষমতার কথা স্বীকার করে লিখেছে, এগুলোর মধ্যে কিছু যান সত্যিই অসাধারণ ও অনন্য। লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীর যেহেতু ঘাটতি রয়েছে সে কারণে ইয়েমেনি ড্রোনগুলো ইসরাইলের বন্দরগুলোর দিকে যাওয়া জাহাজের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি, আরব সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরাইলের মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সামরিক বাহিনী।

তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, দখলদার ইসরাইল যতদিন গাজাবাসী নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাবে ততদিন লোহিত সাগর ও আরব সাগরে তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।