নাটোরে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শহরের আলাইপুরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপি এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।
অন্য আহতরা হলেন- জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাব্বিরুল ইসলাম চপল ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হিটলু। হামলায় আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বুধবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ওই সমাবেশে যাওয়ার সময় আলাইপুরে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সমাবেশে হামলা চালায়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ আরও চারজন আহত হন। এসময় হামলাকারীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিনিসহ বিএনপি নেতারা।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী জড়িত নন। আওয়ামী লীগ কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী না এবং বিএনপির কোন সভা-সমাবেশ বন্ধের পক্ষে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকতে পারে এবং তারাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে। এটা বিএনপির চিরাচরিত চরিত্র। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং এসব সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার খবর শুনেছেন। সকাল থেকেই তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ছিলেন। তবে সমাবেশে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অন্য কোথাও ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।