মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট: ০৭:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • 32

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) রাতে বাউফল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী (১৬) উপজেলার ডালিমা দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। ওই মাদরাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাসায় কোচিং করতে যেতো সে। গত রোববার (৩০ জুন) বিকেল সোয়া ৬টার দিকে কোচিং শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে ভুক্তভোগীকে ঘরে বসতে বলেন শিক্ষক শহিদুল। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এসময় শিক্ষার্থী নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, তার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা মোতাহার হোসেন ও ইউপি সদস্য মনির হোসেন সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি দফারফা করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি। মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার সাদ্দাম হোসাইন বলেন, মামলা এফআইআর হয়েছে। অতিদ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Tag :

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট: ০৭:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) রাতে বাউফল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী (১৬) উপজেলার ডালিমা দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। ওই মাদরাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাসায় কোচিং করতে যেতো সে। গত রোববার (৩০ জুন) বিকেল সোয়া ৬টার দিকে কোচিং শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে ভুক্তভোগীকে ঘরে বসতে বলেন শিক্ষক শহিদুল। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এসময় শিক্ষার্থী নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, তার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা মোতাহার হোসেন ও ইউপি সদস্য মনির হোসেন সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি দফারফা করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি। মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার সাদ্দাম হোসাইন বলেন, মামলা এফআইআর হয়েছে। অতিদ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।