রোগীদের নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

  • আপডেট: ১০:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • 32

হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, রোগী হাসপাতালে আসে সুস্থ হতে, নষ্ট-পচা খাবার খেয়ে যেন আরও অসুস্থ না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসকের একটু ভালো ব্যবহার রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে, বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোগীদের অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া থেকে চিকিৎসকদের বিরত থাকতে হবে। অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে রোগীর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে।

সরকারি ওষুধ বিনামূল্য বিতরণের জন্য হাসপাতালে দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কিনা, তা মনিটর করতে হবে।

একই সঙ্গে যে ওষুধ প্রয়োজন নেই, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সেসব ওষুধের চাহিদা না পাঠানোর পরামর্শ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, রোগীদের যেন নির্দেশনা মোতাবেক খাবার দেওয়া হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এসময় তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের রোগীর খাবার হিসেবে কি দেওয়া হচ্ছে, তা তদারকি করারও আহওবান জানান।

নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আল মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান কবির রাজু এবং ভাইস চেয়ারম্যান নাজমিন আরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

রোগীদের নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

আপডেট: ১০:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, রোগী হাসপাতালে আসে সুস্থ হতে, নষ্ট-পচা খাবার খেয়ে যেন আরও অসুস্থ না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসকের একটু ভালো ব্যবহার রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে, বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোগীদের অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া থেকে চিকিৎসকদের বিরত থাকতে হবে। অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে রোগীর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে।

সরকারি ওষুধ বিনামূল্য বিতরণের জন্য হাসপাতালে দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কিনা, তা মনিটর করতে হবে।

একই সঙ্গে যে ওষুধ প্রয়োজন নেই, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সেসব ওষুধের চাহিদা না পাঠানোর পরামর্শ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, রোগীদের যেন নির্দেশনা মোতাবেক খাবার দেওয়া হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এসময় তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের রোগীর খাবার হিসেবে কি দেওয়া হচ্ছে, তা তদারকি করারও আহওবান জানান।

নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আল মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান কবির রাজু এবং ভাইস চেয়ারম্যান নাজমিন আরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।