১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট: ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • 19

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হল গেটে অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসের মেইন গেইটে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ নিষেধ’ পোস্টারিং করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি।

গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ বহিরাগতদের সাথে নিয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নিলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ভিসির বাসভবনে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায়।

এই ঘটনা ক্যম্পাস ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক হলের সামনে অবস্থান নেয়। তারা জানান, বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগ হামলা করে ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান নষ্ট করেছে। তাদের হলে প্রবেশের অনুমতি নেই।

আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটায় আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বটতলা এলাকায় দেশী অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এর বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে আমরা অবস্থান নিই। কিন্তু উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তাদের ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনিকে আমাদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়। রামদা, বন্দুক, পেট্রোল-বোম ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। একের পর এক আমাদের ওপর কাচের বোতল ছুড়ে মারা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তাদের সাথে যুক্ত হয় পুলিশ বাহিনী। তারা আমাদের ওপর টিয়ার-শেল ও ছড়া গুলি করে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে ছাত্রলীগের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা মহল চায় ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হোক। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। এজন্য আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। তবে আমাদের কর্মীরা হলের অবস্থান করছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট: ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হল গেটে অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসের মেইন গেইটে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ নিষেধ’ পোস্টারিং করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি।

গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ বহিরাগতদের সাথে নিয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নিলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ভিসির বাসভবনে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায়।

এই ঘটনা ক্যম্পাস ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক হলের সামনে অবস্থান নেয়। তারা জানান, বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগ হামলা করে ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান নষ্ট করেছে। তাদের হলে প্রবেশের অনুমতি নেই।

আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটায় আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বটতলা এলাকায় দেশী অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এর বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে আমরা অবস্থান নিই। কিন্তু উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তাদের ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনিকে আমাদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়। রামদা, বন্দুক, পেট্রোল-বোম ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। একের পর এক আমাদের ওপর কাচের বোতল ছুড়ে মারা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তাদের সাথে যুক্ত হয় পুলিশ বাহিনী। তারা আমাদের ওপর টিয়ার-শেল ও ছড়া গুলি করে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে ছাত্রলীগের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা মহল চায় ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হোক। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। এজন্য আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। তবে আমাদের কর্মীরা হলের অবস্থান করছে।