তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য তার দেশ ইসরাইলে প্রবেশ করতে পারে, যেভাবে তারা লিবিয়া ও নাগার্নো-কারাবাখে করেছিল।
এরদোগান তার নিজ শহর রিজে ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই খুবই শক্তিশালী। ফলে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইল যেসব অদ্ভূত কাজ করতে পেরেছে, আমাদের সাথে পারবে না। ঠিক যেমন আমরা কারাবাখে প্রবেশ করেছিলাম, ঠিক যেমন লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলাম, আমরা সেভাবে তাদের ভেতরেও প্রবেশ করতে পারি।’
এরদোগান আরো বলেন, ‘আমরা এমনটা করব না- এর কোনো কারণ নেই… আমরা অবশ্যই শক্তিশালী। আর এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।’ তার এই বক্তৃতা টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
এরদোগানের এই মন্তব্যের পর ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এক্সে বলেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট ‘সাদ্দাম হোসেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসরাইলকে আক্রমণ করার হুমকি দিচ্ছেন।’
কাটজ বলেন, ’সেখানে কী ঘটেছিল এবং কিভাবে তা শেষ হয়েছিল’ তা এরদোগানের মনে রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত সরকারের সমর্থনে ২০২০ সালে লিবিয়ায় তুর্কি বাহিনী প্রবেশের কথা বলেন এরদোগান।
গত বছর তুরস্ক বলেছিল যে আজারবাইজানকে তারা সামরিকসহ ‘সকল উপায়ে’ সহায়তা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, নাগার্নো-কারাবাখে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিল আজারবাইজান। তবে আজাবাইজানের সামরিক অভিযানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কথা অস্বীকার করে তুরস্ক।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই