কন্যা খুনের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

  • আপডেট: ১২:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • 33

ময়মনসিংহের ফুলপুরে দ্বিতীয় বিবাহজনিত কলহের জেরে নিজের দুই কিশোরী কন্যা সুমাইয়া ও সুরাইয়াকে হত্যার অভিযোগে পাষণ্ড পিতা সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ জুলাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার কাচারিঘাট এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার আদালতে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহাগ। সোহাগ ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের মৃত হরমুজ আলী ও আনোয়ারা খাতুনের পুত্র।

জানা যায়, সোহাগ তার স্ত্রী নাজমাকে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। পরে প্রথম স্ত্রী তা মেনে নিতে না পারায় তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে। এ ঘটনার জেরে ২০ জুলাই তার কন্যাদের নিজ হাতে কৌশলে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে তার স্ত্রী নাজমা ফুলপুর থানায় মামলা দায়ের করলে সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) মোঃ আতাহারুল ইসলাম তালুকদার ও ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমানকে সাথে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মামলাটি‌ তদন্ত করার দায়িত্ব পড়ে ফুলপুর থানার এসআই হানিফ উদ্দিনের উপর। পরে এসআই হানিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ও বাদিসহ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার কাচারীঘাট এলাকা হতে ২২ জুলাই তাকে গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হানিফ উদ্দিন বলেন, এ মামলার ধৃত আসামির বড় ভাইয়ের স্ত্রী এবং ছোট বোন ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ১৬৪ ধারা মোতাবেক আসামির পাশাপাশি তাদেরও জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। আমরা এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি বর্তমানে ময়মনসিংহ জেল হাজতে রয়েছেন।

Tag :

কন্যা খুনের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

আপডেট: ১২:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

ময়মনসিংহের ফুলপুরে দ্বিতীয় বিবাহজনিত কলহের জেরে নিজের দুই কিশোরী কন্যা সুমাইয়া ও সুরাইয়াকে হত্যার অভিযোগে পাষণ্ড পিতা সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ জুলাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার কাচারিঘাট এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার আদালতে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহাগ। সোহাগ ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের মৃত হরমুজ আলী ও আনোয়ারা খাতুনের পুত্র।

জানা যায়, সোহাগ তার স্ত্রী নাজমাকে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। পরে প্রথম স্ত্রী তা মেনে নিতে না পারায় তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে। এ ঘটনার জেরে ২০ জুলাই তার কন্যাদের নিজ হাতে কৌশলে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে তার স্ত্রী নাজমা ফুলপুর থানায় মামলা দায়ের করলে সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) মোঃ আতাহারুল ইসলাম তালুকদার ও ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমানকে সাথে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মামলাটি‌ তদন্ত করার দায়িত্ব পড়ে ফুলপুর থানার এসআই হানিফ উদ্দিনের উপর। পরে এসআই হানিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ও বাদিসহ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার কাচারীঘাট এলাকা হতে ২২ জুলাই তাকে গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হানিফ উদ্দিন বলেন, এ মামলার ধৃত আসামির বড় ভাইয়ের স্ত্রী এবং ছোট বোন ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ১৬৪ ধারা মোতাবেক আসামির পাশাপাশি তাদেরও জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। আমরা এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি বর্তমানে ময়মনসিংহ জেল হাজতে রয়েছেন।