আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও আজ সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আগামীকাল রোববার থেকে বিদ্যালয় খুলছে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল। এরপর ২৪ জুলাই সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার (৩১ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের যৌথ বৈঠক শেষে ৪ আগস্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তবে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখনই খোলা হচ্ছে না বলে জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ‘১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ব্যতীত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় সার্নিং সেন্টারগুলো ৪ আগস্ট থেকে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চালু থাকবে। উপযুক্ত আদেশের আওতাভুক্ত সব জেলায় চলমান কারফিউর সময়সীমা বিবেচনায় রেখে শিখন-সময় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।’
তবে দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনই খোলা হচ্ছে না বলে আজ জানিয়ে দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।