১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যদি শোক পালন করতে চাইলে আমরা বাধা দিতে পারি না

  • আপডেট: ০৭:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 22

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কেউ যদি শোক পালন করতে চায়, ফুল দিতে যেতে চায় আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাধা দিতে পারি না। এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

সারজিস বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে লক্ষ্য করেছি ধানমন্ডি ৩২ এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। আমরা যেই বাংলাদেশের প্রত্যাশা করি সেটির সাথে এটি কোনোভাবেই যায় না।

তিনি বলেন, আমরা ভাইরাল ভিডিও দেখেছি যে আমার বাবার বয়সী লোককে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে, বিবস্ত্র করানো হয়েছে। মানুষজন যা ইচ্ছা তাই বলছে, অসংখ্য মানুষের ফোন চেক করা হচ্ছে। আমি দেখেছি আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এমন নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

আমরা খুঁজছি এগুলোর সাথে আমাদের কোনো সমন্বয়ক কিংবা সহ-সমন্বয়ক যুক্ত আছে কি না। আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ডিসিশন আমরা খুঁজে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যদি এসব কাজে যুক্ত দেখি কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করবো।

তিনি আরও বলেন, যেই ঘটনাগুলো অতিরঞ্জিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা করার প্রয়োজন একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে আমরা কাজ করবো। আইনের মাধ্যমে কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

সারজিস বলেন, আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট কথা, যে স্পিরিটকে সামনে রেখে আমরা এই গণবিপ্লব করেছি.. গত ১৬ বছরে মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ হয়েছিল, দুর্নীতি, অবিচার এগুলোর বিরুদ্ধে এই গণবিপ্লব। এর কারণ ছিল আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, সবাই মত প্রকাশ করতে পারবে। যে যেই ধারায় বিশ্বাসী, সেই কাজ করতে পারবে এবং স্বাধীনতা থাকবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যদি শোক পালন করতে চাইলে আমরা বাধা দিতে পারি না

আপডেট: ০৭:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কেউ যদি শোক পালন করতে চায়, ফুল দিতে যেতে চায় আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাধা দিতে পারি না। এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

সারজিস বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে লক্ষ্য করেছি ধানমন্ডি ৩২ এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। আমরা যেই বাংলাদেশের প্রত্যাশা করি সেটির সাথে এটি কোনোভাবেই যায় না।

তিনি বলেন, আমরা ভাইরাল ভিডিও দেখেছি যে আমার বাবার বয়সী লোককে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে, বিবস্ত্র করানো হয়েছে। মানুষজন যা ইচ্ছা তাই বলছে, অসংখ্য মানুষের ফোন চেক করা হচ্ছে। আমি দেখেছি আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এমন নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

আমরা খুঁজছি এগুলোর সাথে আমাদের কোনো সমন্বয়ক কিংবা সহ-সমন্বয়ক যুক্ত আছে কি না। আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ডিসিশন আমরা খুঁজে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যদি এসব কাজে যুক্ত দেখি কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করবো।

তিনি আরও বলেন, যেই ঘটনাগুলো অতিরঞ্জিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা করার প্রয়োজন একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে আমরা কাজ করবো। আইনের মাধ্যমে কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

সারজিস বলেন, আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট কথা, যে স্পিরিটকে সামনে রেখে আমরা এই গণবিপ্লব করেছি.. গত ১৬ বছরে মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ হয়েছিল, দুর্নীতি, অবিচার এগুলোর বিরুদ্ধে এই গণবিপ্লব। এর কারণ ছিল আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, সবাই মত প্রকাশ করতে পারবে। যে যেই ধারায় বিশ্বাসী, সেই কাজ করতে পারবে এবং স্বাধীনতা থাকবে।