নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্মরণ করল জুলাই বিপ্লবের শহীদদের

  • আপডেট: ০৫:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • 32

জুলাইয়ের বড় অংশজুড়ে সারা দেশের মতো রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ছিল কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর অন্যতম

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ‘জুলাই ২০২৪ বিপ্লব : শোক ও স্মরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আলোর মিছিল করেন। গতকাল এনএসইউ ৮ নম্বর গেটে। ছবি : লুৎফর রহমান
‘বসুন্ধরা গেট দিয়ে কাউকে বের হতে দিচ্ছিল না। কম শিক্ষার্থী দেখলেই গুলি ছু্্ড়ছিল। আমাদের এখান থেকে (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি) কয়েকজন ভাই বসুন্ধরা গেটে আহত হওয়া কয়েকজনকে চিকিৎসা দিতে যান। কিছুক্ষণ পর আমরা শুনতে পাই সেনা সদস্যরা এসে পুলিশদের সরে যেতে বলেছেন।

তখন বসুন্ধরা গেট খালি হয়ে যায়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত দিন গত ৫ আগস্টের ঘটনার এমন রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা দিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মেহনাজ আশরাফী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর সব শহীদ ও আহতদের স্মরণে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক সংগঠন (এনএসইউএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করছিলেন তিনি।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৮ নম্বর গেটে স্মৃতিচারণার পাশাপাশি শোকসভা ও আলোর মিছিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এনএসইউয়ের শহীদ মিনার থেকে শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল ৯টায় আমাদের ইউনিভার্সিটির ৮ নম্বর গেটে জড়ো হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সেখানে পুলিশ ও আনসার থাকায় আমরা ১ নম্বর গেটে জড়ো হতে শুরু করি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী একত্র হই। এরপর কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে আরো ছাত্র মিছিলসহকারে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর ইআইইউ, এআইইউবি, আইইউবিসহ আশপাশের ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তারপর আমরা সেখানে স্লোগান দিতে থাকি।


মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘হঠাৎ করে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমাদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করা হয়। তারপর পুলিশের গাড়ি থেকে পাঞ্জাবি পরা একজন নেমে গুলি করতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও আনসাররা টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। দৌড়াদৌড়ি করে ছোট গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়ে আহত হয় অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের অনেকে গুলি খায়। একজন ভাইয়ের চোখে রাবার বুলেট লেগেছিল। আরেকজনের পিঠে অনেক রাবার বুলেট লাগে। এমন অবস্থায় পুলিশ ও আনসাররা ক্যাম্পাসের ভেতরেও গুলি ছুড়তে থাকে।’

মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘অবস্থা এমন ছিল যে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কল করে অ্যাম্বুল্যান্স আনার ব্যবস্থা করে অনেককে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি সেনাপ্রধান দুপুর ২টার সময় বক্তব্য দেবেন। তখন আমরা উনার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। সেনাপ্রধানের বক্তব্য পরে বিলম্বিত করা হয়। মাঝের সময়টিতে আমরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছিলাম।’

আশরাফী জানান, বিকেল ৩টার পর তাঁরা বিজয় মিছিল নিয়ে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তখন মানুষ আর মানুষ। ‘আমার জীবনে সেখানে এমন জনসমুদ্র দেখি নাই’, স্মৃতিচারণা করে বলেন মেহনাজ।

তরুণ শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিয়ে মেহনাজ বলেন, ‘আমাদের বিজয় এসেছে ঠিকই। দেশ গড়াটা এখনো বাকি। আমাদেরই সেটা করতে হবে। এখনো আমরা অনেক ধরনের সংবাদ শুনতে পাই। রাতে কেউ ঘুমাতে পারি না। তবে এসবের বেশির ভাগই গুজব। গুজবে কান না দিয়ে আমাদের উচিত আগে ঘটনা সত্য কি না সেটা যাচাই করা।’

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মিজানুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগস্টের ১৯ তারিখে নদ্দা এলাকায় আমাদের এনএসইউয়ের কর্মী আবির ভাই নিহত হয়েছেন। আমি তাঁর এবং এই আন্দোলনে নিহত সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনএসইউয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের সূত্র ধরে ছাত্রসমাজ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই স্বৈরাচারী সরকার পতনের এই বিজয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় এনএসইউ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বিপ্লবের সব শহীদকে।

স্মৃতিচারণার পর রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমণি’সহ আরো কয়েকটি উদ্দীপনামূলক গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মরণ করেন তাঁদের হারানো সহপাঠী, রাজপথের সহযোদ্ধাদের। আলোক প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনএসইউএসএসের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মুশাররাত হোসেন।

Tag :

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্মরণ করল জুলাই বিপ্লবের শহীদদের

আপডেট: ০৫:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

জুলাইয়ের বড় অংশজুড়ে সারা দেশের মতো রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ছিল কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর অন্যতম

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ‘জুলাই ২০২৪ বিপ্লব : শোক ও স্মরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আলোর মিছিল করেন। গতকাল এনএসইউ ৮ নম্বর গেটে। ছবি : লুৎফর রহমান
‘বসুন্ধরা গেট দিয়ে কাউকে বের হতে দিচ্ছিল না। কম শিক্ষার্থী দেখলেই গুলি ছু্্ড়ছিল। আমাদের এখান থেকে (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি) কয়েকজন ভাই বসুন্ধরা গেটে আহত হওয়া কয়েকজনকে চিকিৎসা দিতে যান। কিছুক্ষণ পর আমরা শুনতে পাই সেনা সদস্যরা এসে পুলিশদের সরে যেতে বলেছেন।

তখন বসুন্ধরা গেট খালি হয়ে যায়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত দিন গত ৫ আগস্টের ঘটনার এমন রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা দিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মেহনাজ আশরাফী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর সব শহীদ ও আহতদের স্মরণে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক সংগঠন (এনএসইউএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করছিলেন তিনি।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৮ নম্বর গেটে স্মৃতিচারণার পাশাপাশি শোকসভা ও আলোর মিছিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এনএসইউয়ের শহীদ মিনার থেকে শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল ৯টায় আমাদের ইউনিভার্সিটির ৮ নম্বর গেটে জড়ো হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সেখানে পুলিশ ও আনসার থাকায় আমরা ১ নম্বর গেটে জড়ো হতে শুরু করি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী একত্র হই। এরপর কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে আরো ছাত্র মিছিলসহকারে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর ইআইইউ, এআইইউবি, আইইউবিসহ আশপাশের ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তারপর আমরা সেখানে স্লোগান দিতে থাকি।


মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘হঠাৎ করে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমাদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করা হয়। তারপর পুলিশের গাড়ি থেকে পাঞ্জাবি পরা একজন নেমে গুলি করতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও আনসাররা টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। দৌড়াদৌড়ি করে ছোট গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়ে আহত হয় অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের অনেকে গুলি খায়। একজন ভাইয়ের চোখে রাবার বুলেট লেগেছিল। আরেকজনের পিঠে অনেক রাবার বুলেট লাগে। এমন অবস্থায় পুলিশ ও আনসাররা ক্যাম্পাসের ভেতরেও গুলি ছুড়তে থাকে।’

মেহনাজ আশরাফী বলেন, ‘অবস্থা এমন ছিল যে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কল করে অ্যাম্বুল্যান্স আনার ব্যবস্থা করে অনেককে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি সেনাপ্রধান দুপুর ২টার সময় বক্তব্য দেবেন। তখন আমরা উনার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। সেনাপ্রধানের বক্তব্য পরে বিলম্বিত করা হয়। মাঝের সময়টিতে আমরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছিলাম।’

আশরাফী জানান, বিকেল ৩টার পর তাঁরা বিজয় মিছিল নিয়ে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তখন মানুষ আর মানুষ। ‘আমার জীবনে সেখানে এমন জনসমুদ্র দেখি নাই’, স্মৃতিচারণা করে বলেন মেহনাজ।

তরুণ শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিয়ে মেহনাজ বলেন, ‘আমাদের বিজয় এসেছে ঠিকই। দেশ গড়াটা এখনো বাকি। আমাদেরই সেটা করতে হবে। এখনো আমরা অনেক ধরনের সংবাদ শুনতে পাই। রাতে কেউ ঘুমাতে পারি না। তবে এসবের বেশির ভাগই গুজব। গুজবে কান না দিয়ে আমাদের উচিত আগে ঘটনা সত্য কি না সেটা যাচাই করা।’

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মিজানুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগস্টের ১৯ তারিখে নদ্দা এলাকায় আমাদের এনএসইউয়ের কর্মী আবির ভাই নিহত হয়েছেন। আমি তাঁর এবং এই আন্দোলনে নিহত সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনএসইউয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের সূত্র ধরে ছাত্রসমাজ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই স্বৈরাচারী সরকার পতনের এই বিজয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় এনএসইউ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বিপ্লবের সব শহীদকে।

স্মৃতিচারণার পর রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমণি’সহ আরো কয়েকটি উদ্দীপনামূলক গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মরণ করেন তাঁদের হারানো সহপাঠী, রাজপথের সহযোদ্ধাদের। আলোক প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনএসইউএসএসের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মুশাররাত হোসেন।