টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে খাগড়াছড়িতে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী

  • আপডেট: ১১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • 32

 - ছবি :সংগৃহীত

মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে ৪ দিনের টানা বর্ষণে ফের খাগড়াছড়ি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার।

প্রথম দিকে কম থাকেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

এতে করে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, রুইখই চৌধুরীপাড়া, মেহেদীবাগ, শান্তি নগর, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, দীঘিনালার কমলছড়ি ও মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শত একর ফসলী জমি।

এদিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। সকালে জেলা সদরের শালবনে পাহাড় ধসে সড়কের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বেড়েই চলেছে। তবে কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান জানান, বন্যা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদেদি দুর্যোগে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সড়ক বিভাগেরও প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানায় তারা।

Tag :

টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে খাগড়াছড়িতে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী

আপডেট: ১১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে ৪ দিনের টানা বর্ষণে ফের খাগড়াছড়ি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার।

প্রথম দিকে কম থাকেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

এতে করে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, রুইখই চৌধুরীপাড়া, মেহেদীবাগ, শান্তি নগর, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, দীঘিনালার কমলছড়ি ও মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শত একর ফসলী জমি।

এদিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। সকালে জেলা সদরের শালবনে পাহাড় ধসে সড়কের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বেড়েই চলেছে। তবে কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান জানান, বন্যা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদেদি দুর্যোগে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সড়ক বিভাগেরও প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানায় তারা।