মহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীতে দেখাদিয়েঝ বন্যা পরিস্থিতি

  • আপডেট: ০৮:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • 29

নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকছে। এতে জেলার নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ নয়টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছে, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘর কিংবা রান্নাঘর উভয় জায়গাতেই পানি। রান্না হয়নি অনেক পরিবারে। আবার চারপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে এদিক-সেদিক। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে অনেক শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এছাড়া জেলার ৭টি পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সব ধরনের গ্রামীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, মহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়ায় নোয়াখালী প্লাবিত হচ্ছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস।

Tag :

মহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীতে দেখাদিয়েঝ বন্যা পরিস্থিতি

আপডেট: ০৮:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকছে। এতে জেলার নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ নয়টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছে, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘর কিংবা রান্নাঘর উভয় জায়গাতেই পানি। রান্না হয়নি অনেক পরিবারে। আবার চারপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে এদিক-সেদিক। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে অনেক শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এছাড়া জেলার ৭টি পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সব ধরনের গ্রামীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, মহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়ায় নোয়াখালী প্লাবিত হচ্ছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস।