০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের হাইকমিশনার বৈঠকে

  • আপডেট: ১০:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 25

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। দুই দেশের মধ্যে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে তা আলোচনায় উঠে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দুই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে, পারস্পরিক সম্পর্ক রেখে, পারস্পরিক শ্রদ্ধারোধ রেখে একে অন্যের সম্পর্ককে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে।

সুতরাং কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে যে অর্থনীতি বাংলাদেশে অনেক দিন তা অনুপস্থিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পৃষ্ঠপোষকতার একটা ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি ছিল, যার কারণে কিছু মানুষ লাভবান হয়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমরা আলোচনা করেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে তাদের যেখানে এডভায়রনটেইজ আছে, সেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করব।

দুই দেশের মধ্যে এবং পুরো রিজিয়নের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব।’
‘দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা জোরদার’

আমীর খসরু বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় রিজিয়নটা সবচেয়ে লিস্ট ইনটিগ্রেটিভ। সবচেয়ে কম আঞ্চলিক সহযোগিতা হয়। আমরা সবাই পিছিয়ে আছি এ ক্ষেত্রে। আমরা সেটাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব? এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে ইনটিগ্রেশনটা দরকার শুধু অর্থনীতি নয়, সব দিক থেকে একটা ইনটিগ্রেশন দরকার।

এটা আমরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির যে পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, সেই ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণ যেখানে উপকৃত হবে, বাংলাদেশ যেখানে উপকৃত হবে সেই ধরনের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যেটা এত দিন অনুপস্থিত ছিল। আমরা মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ঠিক রেখে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের হাইকমিশনার বৈঠকে

আপডেট: ১০:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। দুই দেশের মধ্যে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে তা আলোচনায় উঠে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দুই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে, পারস্পরিক সম্পর্ক রেখে, পারস্পরিক শ্রদ্ধারোধ রেখে একে অন্যের সম্পর্ককে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে।

সুতরাং কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে যে অর্থনীতি বাংলাদেশে অনেক দিন তা অনুপস্থিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পৃষ্ঠপোষকতার একটা ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি ছিল, যার কারণে কিছু মানুষ লাভবান হয়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমরা আলোচনা করেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে তাদের যেখানে এডভায়রনটেইজ আছে, সেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করব।

দুই দেশের মধ্যে এবং পুরো রিজিয়নের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব।’
‘দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা জোরদার’

আমীর খসরু বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় রিজিয়নটা সবচেয়ে লিস্ট ইনটিগ্রেটিভ। সবচেয়ে কম আঞ্চলিক সহযোগিতা হয়। আমরা সবাই পিছিয়ে আছি এ ক্ষেত্রে। আমরা সেটাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব? এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে ইনটিগ্রেশনটা দরকার শুধু অর্থনীতি নয়, সব দিক থেকে একটা ইনটিগ্রেশন দরকার।

এটা আমরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির যে পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, সেই ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণ যেখানে উপকৃত হবে, বাংলাদেশ যেখানে উপকৃত হবে সেই ধরনের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যেটা এত দিন অনুপস্থিত ছিল। আমরা মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ঠিক রেখে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।