০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • আপডেট: ০৯:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 25

সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, কারখানায় মোবাইল ব্যবহারসহ জোরপূর্বক চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় ডংলিয়ন কারখানার শ্রমিকরা।

এতে সড়কটির উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বেশ কয়েকটি দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। তারা আমাদের দাবি কোনোভাবেই মানতে রাজি নয়। আমরা কারখানায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারি না। এতে গ্রামে পরিবারের কেউ মারা গেলেও আমরা তৎক্ষণাৎ কোনো খবর পাই না। এছাড়া আমাদের সামান্য ত্রুটি দেখলেই জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এসব বন্ধের দাবি নিয়ে দাবি পেশ করলে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আশ্বাস না দিলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে কারখানা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ আমাদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

বন্ধের নোটিশে লেখা রয়েছে, ২৫ আগস্ট কারখানার শ্রমিকরা কিছু অবৈধ দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ বন্ধ করে বেআইনি ধর্মঘট আরম্ভ করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে শুরু করেন। তাদের এসব দাবি সম্পর্কে ইতোপূর্বে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে অবগত করেনি। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বারবার শান্ত থাকতে অনুরোধ করার পরেও তারা কাজ বন্ধ রেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রদর্শন করেন এবং কারখানায় ভাঙচুর আরম্ভ করেন। এক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেন। পরে তারা কারখানার প্রধান ফটকসমূহের ভেতর থেকে তালা দিয়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাদের এমন আচরণে আহত কর্মকর্তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোও সম্ভব হয়নি। কারখানা শ্রমিকদের এমন বেআইনি ধর্মঘট ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী ২৬ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন শ্রমিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মূলত বিধি মোতাবেক ওভারটাইম, টিফিন বিল বাড়াতে হবে এসব দাবি তাদের। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। এখন শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সাভারে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট: ০৯:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, কারখানায় মোবাইল ব্যবহারসহ জোরপূর্বক চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় ডংলিয়ন কারখানার শ্রমিকরা।

এতে সড়কটির উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বেশ কয়েকটি দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। তারা আমাদের দাবি কোনোভাবেই মানতে রাজি নয়। আমরা কারখানায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারি না। এতে গ্রামে পরিবারের কেউ মারা গেলেও আমরা তৎক্ষণাৎ কোনো খবর পাই না। এছাড়া আমাদের সামান্য ত্রুটি দেখলেই জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এসব বন্ধের দাবি নিয়ে দাবি পেশ করলে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আশ্বাস না দিলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে কারখানা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ আমাদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

বন্ধের নোটিশে লেখা রয়েছে, ২৫ আগস্ট কারখানার শ্রমিকরা কিছু অবৈধ দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ বন্ধ করে বেআইনি ধর্মঘট আরম্ভ করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে শুরু করেন। তাদের এসব দাবি সম্পর্কে ইতোপূর্বে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে অবগত করেনি। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বারবার শান্ত থাকতে অনুরোধ করার পরেও তারা কাজ বন্ধ রেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রদর্শন করেন এবং কারখানায় ভাঙচুর আরম্ভ করেন। এক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেন। পরে তারা কারখানার প্রধান ফটকসমূহের ভেতর থেকে তালা দিয়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাদের এমন আচরণে আহত কর্মকর্তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোও সম্ভব হয়নি। কারখানা শ্রমিকদের এমন বেআইনি ধর্মঘট ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী ২৬ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন শ্রমিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মূলত বিধি মোতাবেক ওভারটাইম, টিফিন বিল বাড়াতে হবে এসব দাবি তাদের। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। এখন শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।