০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা: গভর্নর

  • আপডেট: ১১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 19

ফাইল ছবি

ব্যাংক থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টানা না তোলার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আমানতকারীরা অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন। ধৈর্য ধরুন।’

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গভর্নর।

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগামী দিনগুলোতে কী হতে যাচ্ছে সেই অনিশ্চয়তার বশবর্তী হয়ে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাখছেন। ফলে দুর্বল ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, সবাই যদি একসঙ্গে টাকা তুলতে যান তাহলে ব্যাংক টাকা দিতে পারবে না। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের ব্যাংক পারবে না। এজন্য গ্রাহকদের বলবো, বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা যেন ধৈর্য ধরেন। তাদের ভয়ের কিছু নেই। সবাইকে যার যার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হবে। যতটুকু দরকার তার বাইরে অতিরিক্ত টাকা তুলবেন না।

গভর্নর বলেন,সংসার চালানোর জন্য যতটুকু দরকার ততোটুকু তুলুন। কোনো আমানতকারীর টাকা হারাবেন না। আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল করার চেষ্টা করছি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।

ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, পুরানো পর্ষদ দিয়ে ভালো কিছু হবে না বলে মনে করছি। তাই বোর্ডগুলো ভেঙে দিচ্ছি। ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাংক কমিশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেটি যেনতেনভাবে নয়, কার্যকরভাবে করা হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগিতা নেয়া হবে। শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ কীভাবে কাজ করেছে সেই অভিজ্ঞতা নেয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা: গভর্নর

আপডেট: ১১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

ব্যাংক থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টানা না তোলার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আমানতকারীরা অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন। ধৈর্য ধরুন।’

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গভর্নর।

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগামী দিনগুলোতে কী হতে যাচ্ছে সেই অনিশ্চয়তার বশবর্তী হয়ে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাখছেন। ফলে দুর্বল ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, সবাই যদি একসঙ্গে টাকা তুলতে যান তাহলে ব্যাংক টাকা দিতে পারবে না। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের ব্যাংক পারবে না। এজন্য গ্রাহকদের বলবো, বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা যেন ধৈর্য ধরেন। তাদের ভয়ের কিছু নেই। সবাইকে যার যার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হবে। যতটুকু দরকার তার বাইরে অতিরিক্ত টাকা তুলবেন না।

গভর্নর বলেন,সংসার চালানোর জন্য যতটুকু দরকার ততোটুকু তুলুন। কোনো আমানতকারীর টাকা হারাবেন না। আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল করার চেষ্টা করছি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।

ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, পুরানো পর্ষদ দিয়ে ভালো কিছু হবে না বলে মনে করছি। তাই বোর্ডগুলো ভেঙে দিচ্ছি। ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাংক কমিশন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেটি যেনতেনভাবে নয়, কার্যকরভাবে করা হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগিতা নেয়া হবে। শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ কীভাবে কাজ করেছে সেই অভিজ্ঞতা নেয়া হবে।