ইসরাইল আতঙ্কে, ফিলিস্তিনের সক্রিয় যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে

  • আপডেট: ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 27

অধিকৃত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ অভিযান তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ এলাকায় সক্রিয় হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক প্রকাশ করেছে ইসরাইলি মিডিয়া।

পশ্চিম তীরে রোববার ইসরাইলি সামরিক হামলার চতুর্থ দিনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো যখন তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবং হামলাকারীদের ওপর প্রবল বিক্রমে আঘাত হানছে, ঠিক তখনই ইসরাইলি সূত্রগুলো পশ্চিম তীরে সক্রিয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরছে।

ইসরাইলি মিডিয়াগুলো স্বীকার করেছে যে, হামাস ও ইসলামি জিহাদসহ অন্তত ২৩টি প্রতিরোধ ব্যাটালিয়ন বর্তমানে পশ্চিম তীরে সক্রিয় রয়েছে। যা গাজা উপত্যকার ব্যাটালিয়নের সংখ্যার দ্বিগুণ।

একই সময়ে আল-আকসা শহিদ ব্যাটালিয়ন, আল-কুদস ব্যাটালিয়ন এবং জেনিনে আল-মুজাহিদিন ব্যাটালিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতে বিভিন্ন ফ্রন্টে ইসরাইলি আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা বন্দুক ও বিস্ফোরক দিয়ে ইসরাইলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছে এবং তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

এছাড়াও স্থানীয় মিডিয়াগুলো জেনিনের পশ্চিমে অবস্থিত বারকিন শহরে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের খবর দিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে তাদের ব্যাপক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয়। এসব অভিযানে বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হন। এসব এলাকার অবকাঠামোগত কিছু স্থাপনা দখলদার শাসকগোষ্ঠীর সৈন্যরা ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্র: ইরনা

Tag :

ইসরাইল আতঙ্কে, ফিলিস্তিনের সক্রিয় যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে

আপডেট: ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অধিকৃত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ অভিযান তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ এলাকায় সক্রিয় হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক প্রকাশ করেছে ইসরাইলি মিডিয়া।

পশ্চিম তীরে রোববার ইসরাইলি সামরিক হামলার চতুর্থ দিনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো যখন তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবং হামলাকারীদের ওপর প্রবল বিক্রমে আঘাত হানছে, ঠিক তখনই ইসরাইলি সূত্রগুলো পশ্চিম তীরে সক্রিয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরছে।

ইসরাইলি মিডিয়াগুলো স্বীকার করেছে যে, হামাস ও ইসলামি জিহাদসহ অন্তত ২৩টি প্রতিরোধ ব্যাটালিয়ন বর্তমানে পশ্চিম তীরে সক্রিয় রয়েছে। যা গাজা উপত্যকার ব্যাটালিয়নের সংখ্যার দ্বিগুণ।

একই সময়ে আল-আকসা শহিদ ব্যাটালিয়ন, আল-কুদস ব্যাটালিয়ন এবং জেনিনে আল-মুজাহিদিন ব্যাটালিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতে বিভিন্ন ফ্রন্টে ইসরাইলি আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা বন্দুক ও বিস্ফোরক দিয়ে ইসরাইলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছে এবং তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

এছাড়াও স্থানীয় মিডিয়াগুলো জেনিনের পশ্চিমে অবস্থিত বারকিন শহরে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের খবর দিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে তাদের ব্যাপক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয়। এসব অভিযানে বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হন। এসব এলাকার অবকাঠামোগত কিছু স্থাপনা দখলদার শাসকগোষ্ঠীর সৈন্যরা ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্র: ইরনা