০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮

  • আপডেট: ০৭:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 15

রাজবাড়ীতে বিএনপির খৈয়ম ও আসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দনী বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি আসলাম গ্রুপের নেতা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ চারজন আহত হন।

অন্য আহতরা হলেন-চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মণ্ডলের ছেলে শামীম (২৪), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) ও সুভাষের ছেলে শশী (১৯)। আহতরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এছাড়াও বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের নেতা মো. কামরুল (৩২), মো. খোকন (৩৫), মো. বাচ্চু (৩৪) ও রইচ (৩০) গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চন্দনী বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী টুকু বলেন, আমার দোকানের সামনেই প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল, কিন্ত হঠাৎ করে সমাবেশে দূর্বৃত্তরা আমার হোটেলে হামলা করে পালিয়ে যান। আমার বেশ ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চন্দনী বাজারে বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের যুবদলের পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল। হঠাৎ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বিএনপির যুবদল নেতাও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দনীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর-দখল, চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হন ভিপি মালেকের অনুসারীরা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব অপকর্ম বন্ধ করার লক্ষে আমরা চন্দনী বাজারে একটা সমাবেশ করি। সেখানে ভিপি মালেকের অনুসারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাদের নেতাকর্মী ও ছাত্রদের ওপর অর্তকিত হামলা করে ৪-৫টি দোকানসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। আমি নিজে যেখানে উপস্থিত ছিলাম না, সেখানে আমাকে কিভাবে দোষারোপ করা হয়। তবে আমি জানতে পেরেছি বিএনপির দুই গ্রুপের একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ থাকায় সেটা নিয়েই মুলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো.ইফতেখারুল আলম প্রধান শুক্রবার সকালে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবেএ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮

আপডেট: ০৭:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ীতে বিএনপির খৈয়ম ও আসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দনী বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি আসলাম গ্রুপের নেতা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ চারজন আহত হন।

অন্য আহতরা হলেন-চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মণ্ডলের ছেলে শামীম (২৪), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) ও সুভাষের ছেলে শশী (১৯)। আহতরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এছাড়াও বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের নেতা মো. কামরুল (৩২), মো. খোকন (৩৫), মো. বাচ্চু (৩৪) ও রইচ (৩০) গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চন্দনী বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী টুকু বলেন, আমার দোকানের সামনেই প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল, কিন্ত হঠাৎ করে সমাবেশে দূর্বৃত্তরা আমার হোটেলে হামলা করে পালিয়ে যান। আমার বেশ ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চন্দনী বাজারে বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের যুবদলের পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল। হঠাৎ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বিএনপির যুবদল নেতাও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দনীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর-দখল, চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হন ভিপি মালেকের অনুসারীরা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব অপকর্ম বন্ধ করার লক্ষে আমরা চন্দনী বাজারে একটা সমাবেশ করি। সেখানে ভিপি মালেকের অনুসারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাদের নেতাকর্মী ও ছাত্রদের ওপর অর্তকিত হামলা করে ৪-৫টি দোকানসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। আমি নিজে যেখানে উপস্থিত ছিলাম না, সেখানে আমাকে কিভাবে দোষারোপ করা হয়। তবে আমি জানতে পেরেছি বিএনপির দুই গ্রুপের একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ থাকায় সেটা নিয়েই মুলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো.ইফতেখারুল আলম প্রধান শুক্রবার সকালে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবেএ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।