চোর সন্দেহে ঢাবিতে হত্যার ঘটনায় অভিযোগের তীর যাদের দিকে

  • আপডেট: ১১:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 30

সংগৃহীত ছবি

গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের কিছু শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, অভিযুক্তদের কারো কারো রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়।

ঘটনার আগে ওই হলে ছয়টি মোবাইল চুরি হয়। ভবঘুরে এবং হলে বহিরাগত হওয়াতে তোফাজ্জলকে চোর হিসেবে সন্দেহ করে আটক করে শিক্ষার্থীরা। তাকে হলের গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ। মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন— মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। তোফাজ্জলের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাকে, মার খেতে খেতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে।

Tag :

চোর সন্দেহে ঢাবিতে হত্যার ঘটনায় অভিযোগের তীর যাদের দিকে

আপডেট: ১১:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের কিছু শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, অভিযুক্তদের কারো কারো রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়।

ঘটনার আগে ওই হলে ছয়টি মোবাইল চুরি হয়। ভবঘুরে এবং হলে বহিরাগত হওয়াতে তোফাজ্জলকে চোর হিসেবে সন্দেহ করে আটক করে শিক্ষার্থীরা। তাকে হলের গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ। মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন— মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। তোফাজ্জলের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাকে, মার খেতে খেতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে।