১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকের ক্ষতি ৪৯ কোটি টাকা

  • আপডেট: ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • 26

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি নদীর পানি বেড়ে ফসল নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকের ৪৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাসকলাই চাষীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনটি ঢাকার খামারবাড়িস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ক্ষতি হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলার প্রধান তিনটি নদী পদ্মা, মহানন্দা ও পূনর্ভবার কোনটির পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর চর এবং নদী তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় মাসকলাইসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অবশ্য ইতোমধ্যে পদ্মা, মহানন্দা ও পূনর্ভবা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে এবং আজ সকালে পদ্মায় বিপদসীমার ১.৩৭ মিটার, মহানন্দায় ১.৫১ মিটার এবং পূনর্ভবায় ২.০৭ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে জেলায় ১৯৩২ হেক্টর জমির মাসকলাই, ৯ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ৫ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ৪০ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ও ৩ হেক্টর জমির চিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৬ হাজার ৮১০ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার মাসকলাই চাষীরা।
জেলায় মোট ফসলের ২.৭৪ শতাংশ ফসল দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মাসকলাইয়ে ক্ষতির আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সবজিতে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা, রোপা আউশে ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা ও চিনাতে ২ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। সম্ভাব্য উৎপাদিত ফসলের সম্ভাব্য মূল্য হিসেবে আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সদর উপজেলার আলাতুলি, শাহজাহানপুর, বারোঘরিয়া, চরবাগডাঙ্গা, শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাঁকা, ছত্রাজিতপুর, দুর্লভপুর, ঘোড়াপাখিয়া, মনাকষা, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর, চৌডালা, রাধানগর, বোয়ালিয়া, বাঙ্গাবাড়ি ও আলীনগর ইউনিয়নকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের নিয়মিত প্রণোদনার আওতায় আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আসলে সেগুলো কৃষকদের সময়মতো বুঝিয়ে দেয়া হবে।  সুত্র বাসস

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকের ক্ষতি ৪৯ কোটি টাকা

আপডেট: ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি নদীর পানি বেড়ে ফসল নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকের ৪৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাসকলাই চাষীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনটি ঢাকার খামারবাড়িস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ক্ষতি হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলার প্রধান তিনটি নদী পদ্মা, মহানন্দা ও পূনর্ভবার কোনটির পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর চর এবং নদী তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় মাসকলাইসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অবশ্য ইতোমধ্যে পদ্মা, মহানন্দা ও পূনর্ভবা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে এবং আজ সকালে পদ্মায় বিপদসীমার ১.৩৭ মিটার, মহানন্দায় ১.৫১ মিটার এবং পূনর্ভবায় ২.০৭ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে জেলায় ১৯৩২ হেক্টর জমির মাসকলাই, ৯ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ৫ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ৪০ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ও ৩ হেক্টর জমির চিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৬ হাজার ৮১০ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার মাসকলাই চাষীরা।
জেলায় মোট ফসলের ২.৭৪ শতাংশ ফসল দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মাসকলাইয়ে ক্ষতির আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সবজিতে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা, রোপা আউশে ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা ও চিনাতে ২ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। সম্ভাব্য উৎপাদিত ফসলের সম্ভাব্য মূল্য হিসেবে আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সদর উপজেলার আলাতুলি, শাহজাহানপুর, বারোঘরিয়া, চরবাগডাঙ্গা, শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাঁকা, ছত্রাজিতপুর, দুর্লভপুর, ঘোড়াপাখিয়া, মনাকষা, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর, চৌডালা, রাধানগর, বোয়ালিয়া, বাঙ্গাবাড়ি ও আলীনগর ইউনিয়নকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের নিয়মিত প্রণোদনার আওতায় আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আসলে সেগুলো কৃষকদের সময়মতো বুঝিয়ে দেয়া হবে।  সুত্র বাসস