টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ বিদেশি নেতা ও আট হাজার অতিথি। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। এজন্য রাজধানী দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিশ্ছিদ্র করতে এরইমধ্যে রাজধানী দিল্লিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মোদির শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও এনএসজি কমান্ডো, ড্রোন এবং স্নাইপার নিয়ে বহু স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলার সময় যেকোনো অপরাধমূলক বা সন্ত্রাসী হুমকি রোধ করতে দিল্লিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দিল্লিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সিসিলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ,,মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার ডাহাল। আর সবমিলিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা হবে আট হাজার।
বিদেশি অতিথিদের হোটেলে বিশেষ প্রোটোকলসহ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে লীলা, তাজ, আইটিসি মৌর্য, ক্ল্যারিজেস এবং ওবেরয়ের মতো নামি হোটেলগুলো। অতিথিরা হোটেল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন নির্দিষ্ট পথে। এসময় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ এবং ডাইভারশন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্তেও শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি।
ধারণা করা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ২৭ থেকে ৩০ জন সদস্য থাকবেন, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হবেন এনডিএ জোটের সদস্য। সঙ্গে কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীও থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন এবং ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন। এছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে পেয়েছে ১৮টি আসন।
তবে দল হিসেবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। দলটির দখলে গেছে ২৪০ আসন। এরপর জোটসঙ্গী দলগুলোর মধ্যে তেলেগু দেশাম পার্টি পেয়েছে ১৬ এবং বিহারের নীতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড) পেয়েছে ১২ আসন।
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর তিনিই হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।