তর্কাতর্কি থেকে কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেন কাউসার

  • আপডেট: ১১:০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • 25

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার প্রাথমিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন। পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কি হয়েছে। তার ফলশ্রুতিতেই একপর্যায়ে মনিরুলকে গুলি করেন কাউসার।

রোববার (০৯ জুন) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার প্রাথমিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে এমন কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

এ সময় তিনি ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেন।

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কি হয়েছে। তার ফলশ্রুতিতেই একপর্যায়ে মনিরুলকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

তিনি আরও বলেন, সাময়িক উত্তেজনার কারণেই হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে আর খুব বেশি কিছু না। তার কারণ কনস্টেবল কাউসার স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছিলেন এবং ডিউটির যে স্ট্যান্ডার্ড সেটিও সে যথাযথভাবে পালন করতেন। কাজেই এটা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটতে পারে। যেটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে, যদিও সুনিশ্চিত করে বলতে আরও তদন্ত করে দেখতে হবে।

দুই কনস্টেবলের মধ্যে আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিরোধের কোনো বিষয় পাইনি। তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল এমন কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। আমরা গতকাল অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সে ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কনস্টেবল কাউসারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। যেখানে দেখা গেছে তিনি যথাযথভাবে ডিউটি করেছেন। এখন কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও পরিষ্কার না। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

শনিবার (০৮ জুন) দিনগত রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতোই দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাউসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

এ সময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনও আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলাকারী কনস্টেবল কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

Tag :

তর্কাতর্কি থেকে কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেন কাউসার

আপডেট: ১১:০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার প্রাথমিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন। পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কি হয়েছে। তার ফলশ্রুতিতেই একপর্যায়ে মনিরুলকে গুলি করেন কাউসার।

রোববার (০৯ জুন) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার প্রাথমিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে এমন কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

এ সময় তিনি ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেন।

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কি হয়েছে। তার ফলশ্রুতিতেই একপর্যায়ে মনিরুলকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

তিনি আরও বলেন, সাময়িক উত্তেজনার কারণেই হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে আর খুব বেশি কিছু না। তার কারণ কনস্টেবল কাউসার স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছিলেন এবং ডিউটির যে স্ট্যান্ডার্ড সেটিও সে যথাযথভাবে পালন করতেন। কাজেই এটা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটতে পারে। যেটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে, যদিও সুনিশ্চিত করে বলতে আরও তদন্ত করে দেখতে হবে।

দুই কনস্টেবলের মধ্যে আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিরোধের কোনো বিষয় পাইনি। তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল এমন কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। আমরা গতকাল অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সে ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কনস্টেবল কাউসারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। যেখানে দেখা গেছে তিনি যথাযথভাবে ডিউটি করেছেন। এখন কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও পরিষ্কার না। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

শনিবার (০৮ জুন) দিনগত রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতোই দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাউসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

এ সময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনও আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলাকারী কনস্টেবল কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।