এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৭৭.৭৮

  • আপডেট: ০৫:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 32

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযাগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এবারের এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাশের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন।

ছাত্রদের মধ্যে পাশের হার ৭৫.৬১ শতাংশ এবং ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৭৯.৯৫ শতাংশ। এ বছর ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন।

চলতি বছর পাশের হার সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাশের হার ৯৩.৪০ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮৮.০৯ শতাংশ। এছাড়া ৯ টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৭৯.২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১.২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭১.১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৬৪.২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০.৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১.৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫.৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭.৫৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৩.২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের পর সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সবশেষ সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফল জানবেন যেভাবে 

শিক্ষার্থীরা এসএমএস ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) www.educationboardresults.gov.bd, or www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে “Result”-এ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা তাদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে তাদের পৃথক ফলাফল শিট ডাউনলোড করতে পারেন।

বোর্ডের অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী এসএমএসের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করবেন তারা সরাসরি মোবাইল ফোনে ফল জানতে পারবেন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীদের যেকোনো মোবাইল অপারেটরের মেসেজ অপশনে গিয়ে (ইংরেজিতে) এইচএসসি<>বোর্ডের নাম (প্রথম ৩ অক্ষর)<>রোল<>বছর টাইপ করে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

পরীক্ষা শুরুর আট দিন পর, কোটা সংস্করণ আন্দোলন এবং পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এ বছর সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এসএসসির ফলের ভিত্তিতে অন্যান্য বিষয়ের জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সারাদেশে ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

Tag :

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৭৭.৭৮

আপডেট: ০৫:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযাগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এবারের এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাশের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন।

ছাত্রদের মধ্যে পাশের হার ৭৫.৬১ শতাংশ এবং ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৭৯.৯৫ শতাংশ। এ বছর ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন।

চলতি বছর পাশের হার সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাশের হার ৯৩.৪০ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮৮.০৯ শতাংশ। এছাড়া ৯ টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৭৯.২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১.২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭১.১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৬৪.২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০.৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১.৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫.৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭.৫৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৩.২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের পর সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সবশেষ সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফল জানবেন যেভাবে 

শিক্ষার্থীরা এসএমএস ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) www.educationboardresults.gov.bd, or www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে “Result”-এ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা তাদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে তাদের পৃথক ফলাফল শিট ডাউনলোড করতে পারেন।

বোর্ডের অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী এসএমএসের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করবেন তারা সরাসরি মোবাইল ফোনে ফল জানতে পারবেন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীদের যেকোনো মোবাইল অপারেটরের মেসেজ অপশনে গিয়ে (ইংরেজিতে) এইচএসসি<>বোর্ডের নাম (প্রথম ৩ অক্ষর)<>রোল<>বছর টাইপ করে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

পরীক্ষা শুরুর আট দিন পর, কোটা সংস্করণ আন্দোলন এবং পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এ বছর সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এসএসসির ফলের ভিত্তিতে অন্যান্য বিষয়ের জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সারাদেশে ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।