আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবক কারাগারে

  • আপডেট: ১১:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 35

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়িতে আদিবাসী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ৩টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নুরুল হক এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামার পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. সেলিম (২৩), ও একই পাড়ার নুরুল হোসেনর ছেলে মতিউর রহমান (২৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে পাড়ার প্রায় সবাই মিলে ফানুস বাতি বানানো ও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিল। কিশোরীর মা ও বৌদ্ধ মন্দিরে যায়। এসময় সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী পাড়ার পাশে খালে (বাইশারী খাল) খাবার পানি আনতে ও গোসল করতে যায়। দীর্ঘক্ষণেও বাড়িতে না ফেরায় ভুক্তভোগীর ভাই খুঁজতে গিয়ে তাকে খালের পাকা সিঁড়ি বরাবর অপর পাড়ের বাঁশ ঝাঁড়ের মধ্যে বসা ও কান্নারত অবস্থায় দেখতে পায়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাকে পেছন থেকে মুখ চেঁপে ধরে খালের পাশে বাঁশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে জানায়। এই ঘটনায় পাড়ার লোকজন বিবাদী মতিউর রহমানকে আটক করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপর ব্যক্তি মো. সেলিমকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়। এই ঘটনায় ওই রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোট পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম মজুমদার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

Tag :

আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবক কারাগারে

আপডেট: ১১:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়িতে আদিবাসী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ৩টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নুরুল হক এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামার পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. সেলিম (২৩), ও একই পাড়ার নুরুল হোসেনর ছেলে মতিউর রহমান (২৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে পাড়ার প্রায় সবাই মিলে ফানুস বাতি বানানো ও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিল। কিশোরীর মা ও বৌদ্ধ মন্দিরে যায়। এসময় সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী পাড়ার পাশে খালে (বাইশারী খাল) খাবার পানি আনতে ও গোসল করতে যায়। দীর্ঘক্ষণেও বাড়িতে না ফেরায় ভুক্তভোগীর ভাই খুঁজতে গিয়ে তাকে খালের পাকা সিঁড়ি বরাবর অপর পাড়ের বাঁশ ঝাঁড়ের মধ্যে বসা ও কান্নারত অবস্থায় দেখতে পায়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাকে পেছন থেকে মুখ চেঁপে ধরে খালের পাশে বাঁশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে জানায়। এই ঘটনায় পাড়ার লোকজন বিবাদী মতিউর রহমানকে আটক করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপর ব্যক্তি মো. সেলিমকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়। এই ঘটনায় ওই রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোট পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম মজুমদার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।