০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিপার স্প্রে করে খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা, গুলশান থানার সাবেক ওসি রিমান্ডে

  • আপডেট: ১১:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 2

২০১৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুর ট্রাক রাখার মামলায় গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

বাসার সামনে বালুর ট্রাক রাখা ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নাগরিক অধিকার হরণের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনকে আসামি করে গত ৪ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শরিফুল ইসলাম শাওন।

মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অপর উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করে। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ‘মার্চ অব ডেমোক্রেসি’র ডাক দেয় বিএনপি। সেখানে খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেওয়ার কথা। এর আগেই ২৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র গেটের সামনেসহ আশপাশে বালুভর্তি পাঁচ-ছয়টি ট্রাক এলোমেলো করে রেখে উল্লিখিত আসামিরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের গেট বন্ধ করে দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা গোপন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হয়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা ২৮ ডিসেম্বর থেকে মারণাস্ত্র, লাঠি, বন্দুক, টিয়ারশেল নিয়ে গুলশান-১ ও ২, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস ও আমেরিকান দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে অস্ত্রের মহড়া দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ ডাক দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছিল। এভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রেখে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ওই ঘটনার পরই কার্যত দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলে তারা।

ওই সময় পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন বাদী।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মামলায় জরালেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া

পিপার স্প্রে করে খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা, গুলশান থানার সাবেক ওসি রিমান্ডে

আপডেট: ১১:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

২০১৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুর ট্রাক রাখার মামলায় গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

বাসার সামনে বালুর ট্রাক রাখা ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নাগরিক অধিকার হরণের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনকে আসামি করে গত ৪ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শরিফুল ইসলাম শাওন।

মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অপর উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করে। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ‘মার্চ অব ডেমোক্রেসি’র ডাক দেয় বিএনপি। সেখানে খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেওয়ার কথা। এর আগেই ২৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র গেটের সামনেসহ আশপাশে বালুভর্তি পাঁচ-ছয়টি ট্রাক এলোমেলো করে রেখে উল্লিখিত আসামিরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের গেট বন্ধ করে দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা গোপন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হয়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা ২৮ ডিসেম্বর থেকে মারণাস্ত্র, লাঠি, বন্দুক, টিয়ারশেল নিয়ে গুলশান-১ ও ২, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস ও আমেরিকান দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে অস্ত্রের মহড়া দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ ডাক দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছিল। এভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রেখে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ওই ঘটনার পরই কার্যত দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলে তারা।

ওই সময় পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন বাদী।