পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট: ০৪:২৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • 20

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসিফ আহম্মেদ অভিকে আটকে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে।

মঙ্গলবার সকালে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। তখন বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় এই ছাত্রলীগ নেতাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অভি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন তিনি। আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষভাবে তিনি সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। যে কোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে আমরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো ঝামেলা করেনি এজন্য ভালো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমাদের হাতে তাকে তুলে দিয়েছে। আমরা পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

Tag :

পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

আপডেট: ০৪:২৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসিফ আহম্মেদ অভিকে আটকে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে।

মঙ্গলবার সকালে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। তখন বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় এই ছাত্রলীগ নেতাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অভি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন তিনি। আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষভাবে তিনি সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। যে কোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে আমরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো ঝামেলা করেনি এজন্য ভালো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমাদের হাতে তাকে তুলে দিয়েছে। আমরা পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।