সংকট নিরসন করতে দলগুলোকে সংলাপে বসে হবে: সিইসি

  • আপডেট: ০৩:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • 28

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। দলগুলোকে সংলাপে বসে এই সংকট নিরসন করতে হবে।

সোমবার (১০ জুন) নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগাদা দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।

৭ জানুয়ারির ভোট, উপজেলা ভোট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণ শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ, নাকি বিরোধী দলের ভোট বর্জন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা জানি আপনারাও জানেন, দেশের সার্বিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। বিতর্কটা এখনো বহাল আছে যে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে, নানা বিষয়ে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের অন্যতম একটা প্রধান দল বলে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না এবং না করে থাকে। এতে প্রত্যাশিত যে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, তার ঘাটতি ছিল। যেকোনো কারণেই হোক উভয়পক্ষ অনড় ছিল তাদের দাবি নিয়ে। যে কারণে একটি বড় দল অংশগ্রহণ করেনি। সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমাদের কোনো ঘাটতি ছিল না, আমরা আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছিলাম।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট প্রসঙ্গে সাবেক এই আইন সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকেই সংলাপের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী দলকে অভিন্দন জানানোর মাধ্যমে একটি সুস্থ নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আর যারা নির্বার্চিত হবেন তারা সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে গেলে সংস্কৃতিতে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হবে।

সংলাপের প্রয়োজন, এর উদ্যোগ কে নেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলব না। আমাদের দেশের যারা বিশিষ্টজন আছেন, তারা আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন—কীভাবে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। ’

ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি, এ দায় আপনাদের ওপর দেওয়া হয়, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশনের একটি কাজ হচ্ছে তফসিল ঘোষণা করা। এরপর একটা সময় আছে যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয়, তখন বলে দেয় তোমরা প্রচারণা করো। প্রচারণাটা কিন্তু সিইসি মাঠে গিয়ে করেন না। যারা পার্টি তারাই করেন। তাদের দক্ষতা প্রচারণা ও দক্ষতার উপর নির্ভরশীল করবে ভোটার উপস্থিতি। ভোটার উপস্থিতি পুরোপুরি নির্ভর করে প্রার্থীর উপর। ভোটার উপস্থিতির হার কত হবে, তার দায় আমরা নিতে পারব না। মনে রাখতে হবে নির্বাচনটা রাজনীতি নয়। নির্বাচন কমিশন একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে। ’

জনগণ বা ভোটারদের আস্থা কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইসির যে সুযোগ ছিল, ইসির যে কাজগুলো করতে হবে এটার একটি রুটিন আছে, সেগুলো করে থাকি। এছাড়া ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমরা নানান রকম প্রচারণা করছি। একটি নির্বাচনের রাজনীতিবিদ ও প্রার্থীদের মধ্যে যে গণসংযোগ, আমি কিন্তু এবার তার কমতি দেখেছি। আমি বলব নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক পরিবেশটা যদি অনুকূল হয়ে ওঠে তাহলে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়তে পারে। ’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনটাকে নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করার চেষ্টা করছি কি-না, জনগণ দেখছে। আমরা কোনো রকম অসততার আশ্রয় গ্রহণ করিনি। কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করিনি এবং আমরা সব থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। তাহলে জনগণের আস্থা না থাকলেও আস্থা হওয়া উচিত। আর আস্থা জিনিসটা একদিনে গড়ে ওঠে না। ক্রমান্বয়ে তা পরিণতি হতে পারে। আমরা যে নির্বাচনটা করেছি, এতে জনগণের মধ্যে আস্থা অতীতের সীমিত পরিসরে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ সহিংসতা কম হয়েছে, ভোট জালিয়াতি কম হয়েছে, কারচুপি কম হয়েছে। ম্যানুপুলেশনের অভিযোগ হয়নি।

এনআইডি চলে যাওয়া বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। আমাদের বিষয় ছিল ভোটার আইডি, সেটা করতে গিয়ে এনআইডি তৈরি করে ফেলেছি। যেটা দেশের জন্য জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এনআইডি যাবে, অবশ্যই চলে যাবে। কারণ আইন হয়েছে এটা সংসদের ব্যাপার।

ইভিএম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমাদের এগোতে হবে। আমার বিশ্বাস ছিল ভূত আছে এভাবে বা ওভাবে দিলে ভোট চলে যায় অন্য জায়গাতে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করছি। ইভিএম প্রযুক্তিতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম কিন্তু ডেমোক্রেসিকে এগিয়ে নিতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। ইভিএম কী হবে আমি জানি না। তবে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সুপারিশ থাকবে ইভিএমের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দেওয়া জনগণের আস্থা ইভিএমের ওপর ফিরিয়ে আনা।

অন্য এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এমন অভিযোগ কোনো ভোটার করেননি। দেশের সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থার আরও সংস্কার করা প্রয়োজন। এতে ব্যক্তির গুরুত্ব কমে যাবে, নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে। …একটি বড় রাজনৈতিক দলের ভোটে না থাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হয়নি। তবে এখানে আমাদের করার কিছুই ছিল না।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের এনআইডি জালিয়াতি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এনআইডি জালিয়াতির অপরাধ ঘটছে, কোনো না কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে। আমাদের জালিয়াতির তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সাবেক সেনাপ্রধানের ভাইদের ও বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানদের জালিয়াতির তথ্য পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি। পুরো সিস্টেমের ১ শতাংশ হয়ত এই জালিয়াতিতে যুক্ত, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব।

Tag :

সংকট নিরসন করতে দলগুলোকে সংলাপে বসে হবে: সিইসি

আপডেট: ০৩:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। দলগুলোকে সংলাপে বসে এই সংকট নিরসন করতে হবে।

সোমবার (১০ জুন) নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগাদা দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।

৭ জানুয়ারির ভোট, উপজেলা ভোট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণ শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ, নাকি বিরোধী দলের ভোট বর্জন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা জানি আপনারাও জানেন, দেশের সার্বিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। বিতর্কটা এখনো বহাল আছে যে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে, নানা বিষয়ে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের অন্যতম একটা প্রধান দল বলে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না এবং না করে থাকে। এতে প্রত্যাশিত যে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, তার ঘাটতি ছিল। যেকোনো কারণেই হোক উভয়পক্ষ অনড় ছিল তাদের দাবি নিয়ে। যে কারণে একটি বড় দল অংশগ্রহণ করেনি। সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমাদের কোনো ঘাটতি ছিল না, আমরা আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছিলাম।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট প্রসঙ্গে সাবেক এই আইন সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকেই সংলাপের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী দলকে অভিন্দন জানানোর মাধ্যমে একটি সুস্থ নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আর যারা নির্বার্চিত হবেন তারা সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে গেলে সংস্কৃতিতে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হবে।

সংলাপের প্রয়োজন, এর উদ্যোগ কে নেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলব না। আমাদের দেশের যারা বিশিষ্টজন আছেন, তারা আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন—কীভাবে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। ’

ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি, এ দায় আপনাদের ওপর দেওয়া হয়, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশনের একটি কাজ হচ্ছে তফসিল ঘোষণা করা। এরপর একটা সময় আছে যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয়, তখন বলে দেয় তোমরা প্রচারণা করো। প্রচারণাটা কিন্তু সিইসি মাঠে গিয়ে করেন না। যারা পার্টি তারাই করেন। তাদের দক্ষতা প্রচারণা ও দক্ষতার উপর নির্ভরশীল করবে ভোটার উপস্থিতি। ভোটার উপস্থিতি পুরোপুরি নির্ভর করে প্রার্থীর উপর। ভোটার উপস্থিতির হার কত হবে, তার দায় আমরা নিতে পারব না। মনে রাখতে হবে নির্বাচনটা রাজনীতি নয়। নির্বাচন কমিশন একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে। ’

জনগণ বা ভোটারদের আস্থা কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইসির যে সুযোগ ছিল, ইসির যে কাজগুলো করতে হবে এটার একটি রুটিন আছে, সেগুলো করে থাকি। এছাড়া ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমরা নানান রকম প্রচারণা করছি। একটি নির্বাচনের রাজনীতিবিদ ও প্রার্থীদের মধ্যে যে গণসংযোগ, আমি কিন্তু এবার তার কমতি দেখেছি। আমি বলব নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক পরিবেশটা যদি অনুকূল হয়ে ওঠে তাহলে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়তে পারে। ’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনটাকে নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করার চেষ্টা করছি কি-না, জনগণ দেখছে। আমরা কোনো রকম অসততার আশ্রয় গ্রহণ করিনি। কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করিনি এবং আমরা সব থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। তাহলে জনগণের আস্থা না থাকলেও আস্থা হওয়া উচিত। আর আস্থা জিনিসটা একদিনে গড়ে ওঠে না। ক্রমান্বয়ে তা পরিণতি হতে পারে। আমরা যে নির্বাচনটা করেছি, এতে জনগণের মধ্যে আস্থা অতীতের সীমিত পরিসরে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ সহিংসতা কম হয়েছে, ভোট জালিয়াতি কম হয়েছে, কারচুপি কম হয়েছে। ম্যানুপুলেশনের অভিযোগ হয়নি।

এনআইডি চলে যাওয়া বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। আমাদের বিষয় ছিল ভোটার আইডি, সেটা করতে গিয়ে এনআইডি তৈরি করে ফেলেছি। যেটা দেশের জন্য জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এনআইডি যাবে, অবশ্যই চলে যাবে। কারণ আইন হয়েছে এটা সংসদের ব্যাপার।

ইভিএম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমাদের এগোতে হবে। আমার বিশ্বাস ছিল ভূত আছে এভাবে বা ওভাবে দিলে ভোট চলে যায় অন্য জায়গাতে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করছি। ইভিএম প্রযুক্তিতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম কিন্তু ডেমোক্রেসিকে এগিয়ে নিতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। ইভিএম কী হবে আমি জানি না। তবে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সুপারিশ থাকবে ইভিএমের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দেওয়া জনগণের আস্থা ইভিএমের ওপর ফিরিয়ে আনা।

অন্য এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এমন অভিযোগ কোনো ভোটার করেননি। দেশের সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থার আরও সংস্কার করা প্রয়োজন। এতে ব্যক্তির গুরুত্ব কমে যাবে, নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে। …একটি বড় রাজনৈতিক দলের ভোটে না থাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হয়নি। তবে এখানে আমাদের করার কিছুই ছিল না।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের এনআইডি জালিয়াতি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এনআইডি জালিয়াতির অপরাধ ঘটছে, কোনো না কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে। আমাদের জালিয়াতির তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সাবেক সেনাপ্রধানের ভাইদের ও বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানদের জালিয়াতির তথ্য পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি। পুরো সিস্টেমের ১ শতাংশ হয়ত এই জালিয়াতিতে যুক্ত, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব।