ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম দাবি করেছে, তারা গুপ্ত হামলা চালিয়ে বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি সৈন্য হত্যা করেছে। তবে ঠিক কতজন সৈন্য নিহত হয়েছে, তা তারা জানায়নি।
আল কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনীকে আক্রমণ করেছে।
তারা পুরো ভবনটি (ভেতরে সৈন্যসহ) উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। এতে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত ও অন্যরা আহত হয়েছে। ইসরাইলি হেলিকপ্টারগুলো চিকিৎসার জন্য আহতদের ইসরাইলের হাসপাতালে সরিয়ে নিতে শুরু করে।
অভিযানের মধ্যে সৈন্যদের উদ্ধার করে নিতে ধোঁয়া গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরাইলি বাহিনী।
অন্যদিকে, লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ দাবি করেছে যে তারা একটি গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের একটি লঞ্চার ধ্বংস করেছে।
লেবাননভিত্তিক গোষ্ঠীটি তাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসাবে বুধবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। আর ইসরাইলের গর্বের আয়রন ডোমের উপর এটাই তাদের প্রথম সফল হামলা।
ক্ষেপণাস্ত্রের অনবোর্ড ক্যামেরা থেকে ধারণ করা ৯০-সেকেন্ডের ক্লিপটি লেবাননের সীমান্তের কাছে উত্তর ইসরাইলের রামোট নাফতালিতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে একটি আয়রন ডোম লঞ্চারের দিকে উড়তে দেখায়। আঘাতের সাথে সাথে ভিডিওটি শেষ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা তাদের লঞ্চারগুলোর কোনো ক্ষতি সম্পর্কে অবগত নয়।
এই প্রথম কোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে লঞ্চার- রাডার এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোর সাথে আয়রন ডোমের একটি অংশে আঘাত হানা হয়েছে। যদিও এটি অস্পষ্ট রয়ে গেছে যে কতটা ক্ষতি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র রিসার্চ বিশ্লেষক জো ট্রুজম্যান বলেছেন, ‘এই প্রথম মনে হচ্ছে যে হিজবুল্লাহ একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আয়রন ডোম লঞ্চারে আঘাত করেছে। ‘ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো বছরের পর বছর ধরে এটি করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমি কখনো প্রমাণ দেখিনি যে তারা সফল হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং আইডিএফ লেবানন ও ইসরাইলের সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। যদিও হিজবুল্লাহর নেতারা দাবি করেছেন যে তারা ইসরাইলের সাথে সহিংসতার একটি বড় বৃদ্ধিতে আগ্রহী নয়, দলটি হামাসের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সীমান্তে ক্রসফায়ারে জড়িত রয়েছে। ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের আট মাসে, আশঙ্কা বাড়ছে যে, ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হবে এবং লেবাননকে যুদ্ধে টেনে আনবে।
সূত্র : আল জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই