বিয়ের দাবিতে এক প্রেমি যুবকের বাড়িতে ২ তরুণীর অনশন

  • আপডেট: ০১:৪১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 18

ঝিনাইদহ সদরে শাহীন নামের এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।

জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকে এক কলেজপড়ুয়া তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। তার দাবি, শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন।

তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।

অপরদিকে গত দুই মাস আগে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর তিনিও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন।

স্থানীয়রা জানায়, শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়ান। এর আগেও এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কও গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

বিয়ের দাবিতে অনশন করা কলেজপড়ুয়া তরুণী বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে পরিবার রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় আমার পরিবার মেনে নেয়নি। গত শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহীনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না।

এ কারণে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এজন্য আমি শাহীনের বাড়িতে এসেছি। আমি শাহীনকেই বিয়ে করব।

অপর নারী বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে দুই মাস আগে পরিচয় হয়। এর আগে শাহীন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহীনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহীনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহীনের বাড়িতে এসেছি।

স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এনামুল হক নিলু বলেন, ‘গাগান্না গ্রামের শাহীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে অনশন করছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

Tag :

বিয়ের দাবিতে এক প্রেমি যুবকের বাড়িতে ২ তরুণীর অনশন

আপডেট: ০১:৪১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ সদরে শাহীন নামের এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।

জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকে এক কলেজপড়ুয়া তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। তার দাবি, শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন।

তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।

অপরদিকে গত দুই মাস আগে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর তিনিও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন।

স্থানীয়রা জানায়, শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়ান। এর আগেও এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কও গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

বিয়ের দাবিতে অনশন করা কলেজপড়ুয়া তরুণী বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে পরিবার রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় আমার পরিবার মেনে নেয়নি। গত শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহীনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না।

এ কারণে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এজন্য আমি শাহীনের বাড়িতে এসেছি। আমি শাহীনকেই বিয়ে করব।

অপর নারী বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে দুই মাস আগে পরিচয় হয়। এর আগে শাহীন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহীনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহীনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহীনের বাড়িতে এসেছি।

স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এনামুল হক নিলু বলেন, ‘গাগান্না গ্রামের শাহীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে অনশন করছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’