যুদ্ধ পরিচালনায় অস্বীকৃতি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্ত

  • আপডেট: ০৪:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 15

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধের সময় পারস্পরিক আস্থার অভাবের কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সরিয়ে দেন নেতানিয়াহু।

গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। আর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন গিডেয়ন সার। সার ইতোপূর্বে দফরতবিহীন মন্ত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাতে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর অফিস একটি সংক্ষিপ্ত চিঠিটি হস্তান্তর করে। এতে নেতানিয়াহু তাকে অবগত করেন, ‘এই চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে’ গ্যালান্টের মেয়াদ শেষ হবে।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আপনার সেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

চ্যানেল-১২ জানায়, ওই সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের পরে নেতানিয়াহু কক্ষ ত্যাগ করে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। এতে তিনি তার দীর্ঘদিনের লিকুদ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যালান্টকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন।

ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে আস্থা এবং ফলপ্রসূ কাজ সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে আমার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে এই আস্থায় ফাটল ধরেছিল।

তিনি বলেন, তারা যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। গ্যালান্ট এমনসব বক্তব্য দিয়েছেন, পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল।

নেতানিয়াহু ইসরাইলের শত্রুদের পরোক্ষভাবে সহায়তার জন্যও গ্যালান্টকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকার ও মন্ত্রিসভার বেশিভাগ সদস্য একমত, এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে না, এর আলোকে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মেয়াদ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে দুইবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে গ্যালান্টকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে তাকে বরখাস্ত করেছিলেন নেতানিয়াহু। তবে এক মাসের আগেই তাকে পুনর্বহাল করেছিলেন। আর ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার পর তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেন।

এদিকে বরখাস্ত হওয়ার পর গ্যালান্ট তার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে সংক্ষিপ্ত একটি বার্তা পোস্ট করেন। এতে তিনি বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সবসময় তার জীবনের মিশন ছিল এবং সবসময়ই থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

Tag :

যুদ্ধ পরিচালনায় অস্বীকৃতি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্ত

আপডেট: ০৪:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধের সময় পারস্পরিক আস্থার অভাবের কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সরিয়ে দেন নেতানিয়াহু।

গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। আর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন গিডেয়ন সার। সার ইতোপূর্বে দফরতবিহীন মন্ত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাতে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর অফিস একটি সংক্ষিপ্ত চিঠিটি হস্তান্তর করে। এতে নেতানিয়াহু তাকে অবগত করেন, ‘এই চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে’ গ্যালান্টের মেয়াদ শেষ হবে।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আপনার সেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

চ্যানেল-১২ জানায়, ওই সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের পরে নেতানিয়াহু কক্ষ ত্যাগ করে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। এতে তিনি তার দীর্ঘদিনের লিকুদ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যালান্টকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন।

ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে আস্থা এবং ফলপ্রসূ কাজ সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে আমার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে এই আস্থায় ফাটল ধরেছিল।

তিনি বলেন, তারা যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। গ্যালান্ট এমনসব বক্তব্য দিয়েছেন, পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল।

নেতানিয়াহু ইসরাইলের শত্রুদের পরোক্ষভাবে সহায়তার জন্যও গ্যালান্টকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকার ও মন্ত্রিসভার বেশিভাগ সদস্য একমত, এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে না, এর আলোকে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মেয়াদ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে দুইবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে গ্যালান্টকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে তাকে বরখাস্ত করেছিলেন নেতানিয়াহু। তবে এক মাসের আগেই তাকে পুনর্বহাল করেছিলেন। আর ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার পর তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেন।

এদিকে বরখাস্ত হওয়ার পর গ্যালান্ট তার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে সংক্ষিপ্ত একটি বার্তা পোস্ট করেন। এতে তিনি বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সবসময় তার জীবনের মিশন ছিল এবং সবসময়ই থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল