বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে চায় লিবিয়া

  • আপডেট: ০৩:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • 19

বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো পেশাজীবীদেরও নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে লিবিয়া। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে আহ্বানও জানিয়েছে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া।

রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালিব এসএম সালিমান এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

লিবিয়ার কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের কথা স্বীকার করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান। বর্তমানে লিবিয়ায় কর্মরত কিছু বাংলাদেশি চিকিৎসক বেতনসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। দেশটিতে চলমান সংস্কার সম্পন্ন হলে দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ও লিবিয়া একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকে সমর্থন করি না। অনেক মানুষ এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

পারস্পরিক সুবিধার জন্য লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ তেল আমদানি করতে পারে কি না, তাও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান।

Tag :

বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে চায় লিবিয়া

আপডেট: ০৩:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো পেশাজীবীদেরও নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে লিবিয়া। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে আহ্বানও জানিয়েছে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া।

রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালিব এসএম সালিমান এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

লিবিয়ার কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের কথা স্বীকার করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান। বর্তমানে লিবিয়ায় কর্মরত কিছু বাংলাদেশি চিকিৎসক বেতনসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। দেশটিতে চলমান সংস্কার সম্পন্ন হলে দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ও লিবিয়া একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকে সমর্থন করি না। অনেক মানুষ এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

পারস্পরিক সুবিধার জন্য লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ তেল আমদানি করতে পারে কি না, তাও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান।