ফিলিস্তিনি ভূমির অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান চান সৌদি

  • আপডেট: ০৩:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • 15

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন পুনঃব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সৌদি রাজধানী রিয়াদে আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। সম্মেলনে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান করার দাবি জানানো হয়।

শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি কার্যক্রমের নিন্দা করেন।
তিনি ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতেও ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি ইসরাইলকে সম্মান দেখাতে হবে। ইসরাইল এভাবে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারে না।

গত কয়েক দশক কূটনৈতিকভাবে রিয়াদ-তেহরানের সম্পর্ক তিক্ত। কিন্তু পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আবহে সালমানের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দমনের নামে সাধারণ নাগরিকদের ইসরাইলি সেনা হত্যা করছে অভিযোগ করে সালমান বলেন, ‘গাজা ও লেবাননে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরাল যে হানাদারি চালাচ্ছে, তা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক তৎপরতা প্রয়োজন।

আরব লিগ এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (আইওসি) যৌথ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান, নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু, লেবাননের প্রেসিডেন্ট নাজিব মিকাতিসহ আরব লিগ ও ওআইসির সদস্যদেশগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তেহরানের প্রতিনিধিত্ব করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ।

সূত্র : আল জাজিরা এবং অন্যান্য

Tag :

ফিলিস্তিনি ভূমির অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান চান সৌদি

আপডেট: ০৩:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন পুনঃব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সৌদি রাজধানী রিয়াদে আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। সম্মেলনে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান করার দাবি জানানো হয়।

শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি কার্যক্রমের নিন্দা করেন।
তিনি ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতেও ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি ইসরাইলকে সম্মান দেখাতে হবে। ইসরাইল এভাবে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারে না।

গত কয়েক দশক কূটনৈতিকভাবে রিয়াদ-তেহরানের সম্পর্ক তিক্ত। কিন্তু পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আবহে সালমানের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দমনের নামে সাধারণ নাগরিকদের ইসরাইলি সেনা হত্যা করছে অভিযোগ করে সালমান বলেন, ‘গাজা ও লেবাননে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরাল যে হানাদারি চালাচ্ছে, তা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক তৎপরতা প্রয়োজন।

আরব লিগ এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (আইওসি) যৌথ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান, নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু, লেবাননের প্রেসিডেন্ট নাজিব মিকাতিসহ আরব লিগ ও ওআইসির সদস্যদেশগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তেহরানের প্রতিনিধিত্ব করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ।

সূত্র : আল জাজিরা এবং অন্যান্য