ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান সংঘাত দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।শনিবার (৩০ নভেম্বর) গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।একই দিনে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস একটি প্রতিনিধিদলকে কায়রোতে পাঠিয়েছে, যেখানে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা চলছে।
শনিবারের (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একসাথে ৪০ জনকে হত্যা করে। একই দিনে দক্ষিণ খান ইউনিস এলাকায় খাদ্য সাহায্যের জন্য অপেক্ষমাণ ১২ জন নিরীহ মানুষ এবং ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন ও সেভ দ্য চিলড্রেন সংস্থার ৪ কর্মী নিহত হন। এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট ৪৪,৩৮২ জন নিহত এবং ১,০৫,১৪২ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, লেবাননেও সংঘাতের প্রভাব পড়েছে। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় ৩,৯৬১ জন নিহত এবং ১৬,৫২০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে মঙ্গলবার থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, যদিও তার মধ্যে কিছু লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় আকারের হামলা চালায়। এই হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দী হন। এর পর থেকেই ইসরায়েল পাল্টা হামলা শুরু করে, যা গাজা ও আশেপাশের এলাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘাত থামাতে হামাস কায়রোতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। সেখানে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গাজার এই মানবিক সংকট বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে দুই পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও কমতে পারে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা