জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক

  • আপডেট: ০১:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 8

ছবি : ইউএনবি

নোবেল বিজয়ী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাথে প্রেসিডেন্ট কার্টারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জিমি কার্টারকে একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের রক্ষক এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তার প্রেসিডেন্সিয়াল আমলে এবং তার পরেও বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার ও বিস্তৃত হয়। কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার কাজ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণার উৎস।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সাথে সাক্ষাৎ করার বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আমাকে সব সময় উৎসাহিত করেছে। আমাদের কথোপকথনগুলো তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার রুহের শান্তি প্রার্থনা করেন।

সূত্র : ইউএনবি

Tag :

জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক

আপডেট: ০১:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নোবেল বিজয়ী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাথে প্রেসিডেন্ট কার্টারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জিমি কার্টারকে একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের রক্ষক এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তার প্রেসিডেন্সিয়াল আমলে এবং তার পরেও বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার ও বিস্তৃত হয়। কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার কাজ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণার উৎস।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সাথে সাক্ষাৎ করার বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আমাকে সব সময় উৎসাহিত করেছে। আমাদের কথোপকথনগুলো তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার রুহের শান্তি প্রার্থনা করেন।

সূত্র : ইউএনবি