হাসপাতালে ঈদের দিনে বেড়েছে কাটা-ছেঁড়া রোগীর আনাগোনা

  • আপডেট: ০১:১৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
  • 47

ঈদের দিনে পশু কোরবানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেড়েছে কাটা-ছেঁড়া রোগীর আনাগোনা। চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন এসব রোগীদের ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। তাদের কারও কেটেছে হাত, কারও পা। কারও আবার গরুর আঘাতে ভেঙেছে হাত-পা। এদের মধ্যে ৫২ জনই মৌসুমি কসাই। যাদের অধিকাংশই হাত-পা কাটা রোগী। কারও হাতের আঙুল কাটা পড়েছে। কারো আবার পা কেটে গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে অন্তত ৬০ জন নতুন রোগী এসেছেন। জরুরি বিভাগের মধ্যে রোগীর চাপ এত বেশি যে, রোগীর স্বজনকে ভেতরে থাকতে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের কারো অস্ত্রোপচার করা লাগছে। কারো আবার হাত-পায়ের রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদে পশু কোরবানির জন্য রাজধানীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমি কসাইদের আগমন ঘটে। দক্ষ একজন কসাই নিজের কাজের সহযোগিতার জন্য অদক্ষ ‘মৌসুমি কসাইদের সঙ্গে আনেন। বাড়তি টাকার আশায় অনেকেই দুই থেকে তিনদিনের জন্য ঢাকায় আসেন। তবে মৌসুমি কসাইরা পশু কোরবানির সঙ্গে নিজেদেরও বিপত্তি ডেকে আনেন। পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকায় পশু কাটার সময় নিজেই আহত হচ্ছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অরিফ হোসেন জানান, নতুন রোগীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। সময় যত গড়াবে, এ ধরনের রোগীর সংখ্যা তত বাড়বে। আমার ধারণা, সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ জন মৌসুমি কসাই গরু জবাইসহ কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসবেন। কয়েকজনকে দেখলাম গরুর গুঁতা খেয়ে এসেছেন। হাত-পাও ভেঙেছে অনেকের।

Tag :

হাসপাতালে ঈদের দিনে বেড়েছে কাটা-ছেঁড়া রোগীর আনাগোনা

আপডেট: ০১:১৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

ঈদের দিনে পশু কোরবানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেড়েছে কাটা-ছেঁড়া রোগীর আনাগোনা। চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন এসব রোগীদের ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। তাদের কারও কেটেছে হাত, কারও পা। কারও আবার গরুর আঘাতে ভেঙেছে হাত-পা। এদের মধ্যে ৫২ জনই মৌসুমি কসাই। যাদের অধিকাংশই হাত-পা কাটা রোগী। কারও হাতের আঙুল কাটা পড়েছে। কারো আবার পা কেটে গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে অন্তত ৬০ জন নতুন রোগী এসেছেন। জরুরি বিভাগের মধ্যে রোগীর চাপ এত বেশি যে, রোগীর স্বজনকে ভেতরে থাকতে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের কারো অস্ত্রোপচার করা লাগছে। কারো আবার হাত-পায়ের রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদে পশু কোরবানির জন্য রাজধানীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমি কসাইদের আগমন ঘটে। দক্ষ একজন কসাই নিজের কাজের সহযোগিতার জন্য অদক্ষ ‘মৌসুমি কসাইদের সঙ্গে আনেন। বাড়তি টাকার আশায় অনেকেই দুই থেকে তিনদিনের জন্য ঢাকায় আসেন। তবে মৌসুমি কসাইরা পশু কোরবানির সঙ্গে নিজেদেরও বিপত্তি ডেকে আনেন। পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকায় পশু কাটার সময় নিজেই আহত হচ্ছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অরিফ হোসেন জানান, নতুন রোগীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মৌসুমি কসাই। সময় যত গড়াবে, এ ধরনের রোগীর সংখ্যা তত বাড়বে। আমার ধারণা, সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ জন মৌসুমি কসাই গরু জবাইসহ কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসবেন। কয়েকজনকে দেখলাম গরুর গুঁতা খেয়ে এসেছেন। হাত-পাও ভেঙেছে অনেকের।