উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

  • আপডেট: ০৪:০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • 23

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলতি জুন মাসে উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও ১০ দিন আগেই উৎপাদনে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

আগামী ৩০ জুন এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির সিওপিতে (কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রতি কিলোওয়াট ১১.২ টাকায় কিনে নেবে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)।

বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানির যৌথ অর্থায়নে বিশাল এই সোলার পার্কটির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় স্লোপ প্রটেকশন কাজ সম্পন্ন করার পর যমুনা নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অকৃষি জমির ওপর সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে বড় বড় আকৃতির সোলার প্যানেল। পাশেই কনস্ট্রাকশন ভবনগুলোর নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের এনডাব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লি.) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক’ নামে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা।

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লি. (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়। এরপর গত বছরের ৯ জানুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লেমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। দ্রুতগতিতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলে। এ প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক মিলে প্রায় ৪ শতাধিক জনবল রাতদিন কাজ করছে।

প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল এ বছরের ৯ জুলাই। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছি। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা হবে।

Tag :

উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট: ০৪:০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলতি জুন মাসে উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও ১০ দিন আগেই উৎপাদনে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

আগামী ৩০ জুন এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির সিওপিতে (কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রতি কিলোওয়াট ১১.২ টাকায় কিনে নেবে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)।

বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানির যৌথ অর্থায়নে বিশাল এই সোলার পার্কটির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় স্লোপ প্রটেকশন কাজ সম্পন্ন করার পর যমুনা নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অকৃষি জমির ওপর সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে বড় বড় আকৃতির সোলার প্যানেল। পাশেই কনস্ট্রাকশন ভবনগুলোর নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের এনডাব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লি.) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক’ নামে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা।

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লি. (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়। এরপর গত বছরের ৯ জানুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লেমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। দ্রুতগতিতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলে। এ প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক মিলে প্রায় ৪ শতাধিক জনবল রাতদিন কাজ করছে।

প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল এ বছরের ৯ জুলাই। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছি। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা হবে।