কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ

  • আপডেট: ০৩:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • 21

শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মোবারক আল-সাবাহ - ফাইল ছবি

কুয়েতে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মোবারক আল-সাবাহ নতুন ক্রাউন প্রিন্স নিযুক্ত হয়েছেন। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ শনিবার তাকে এই নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর শেখ মেশাল আল-সাবাহ গত ১৬ ডিসেম্বর কুয়েতের আমির হন।

উল্লেখ্য, কুয়েতের সংবিধান অনুযায়ী, আমিরকে এক বছরের মধ্যে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরী নিয়োগ করতে হয়। আর নতুন ক্রাউন প্রিন্সকে রাজ পরিবারের সিনিয়র সদস্য হতে হয়।

সাবেক আমির ২০০৬ সালে ক্রাউন প্রিন্স নিয়োগ করেছিলেন। তখন তিনি রাজ পরিবারের আল-জাবের এবং আল-সালিম গোত্রের মধ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে উত্তরসূরী নির্বাচনের প্রথা লঙ্ঘন করেছিলেন।

দুটি গোত্রই আধুনিক কুয়েতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ বোরক আল-সাবাহ বংশধর। তার দুই ছেলে জাবের আল-সাবাহ এবং সালিম আল-সাবাহ পরে কুয়েতের আমির হয়েছিলেন। কুয়েতের সংবিধানে বলা হয়েছে যে দেশটির শাসক অবশ্যই হবেন শেখ মোবারকের বংশধর।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কেবল কুয়েতেই নির্বাচিত পার্লামেন্ট রয়েছে। তবে আমিরের হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত।

গত মাসে আমির পার্লামেন্ট চার বছরের জন্য ভেঙে দেন। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এর ফলে দেশটির অনন্য আধা-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ওই সময় আমির বলেছিলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ পর্যালোচনা করার জন্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদ স্থগিত থাকবে।

সূত্র : আরব নিউজ ও মিডল ইস্ট আই

Tag :

কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ

আপডেট: ০৩:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

কুয়েতে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মোবারক আল-সাবাহ নতুন ক্রাউন প্রিন্স নিযুক্ত হয়েছেন। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ শনিবার তাকে এই নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর শেখ মেশাল আল-সাবাহ গত ১৬ ডিসেম্বর কুয়েতের আমির হন।

উল্লেখ্য, কুয়েতের সংবিধান অনুযায়ী, আমিরকে এক বছরের মধ্যে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরী নিয়োগ করতে হয়। আর নতুন ক্রাউন প্রিন্সকে রাজ পরিবারের সিনিয়র সদস্য হতে হয়।

সাবেক আমির ২০০৬ সালে ক্রাউন প্রিন্স নিয়োগ করেছিলেন। তখন তিনি রাজ পরিবারের আল-জাবের এবং আল-সালিম গোত্রের মধ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে উত্তরসূরী নির্বাচনের প্রথা লঙ্ঘন করেছিলেন।

দুটি গোত্রই আধুনিক কুয়েতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ বোরক আল-সাবাহ বংশধর। তার দুই ছেলে জাবের আল-সাবাহ এবং সালিম আল-সাবাহ পরে কুয়েতের আমির হয়েছিলেন। কুয়েতের সংবিধানে বলা হয়েছে যে দেশটির শাসক অবশ্যই হবেন শেখ মোবারকের বংশধর।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কেবল কুয়েতেই নির্বাচিত পার্লামেন্ট রয়েছে। তবে আমিরের হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত।

গত মাসে আমির পার্লামেন্ট চার বছরের জন্য ভেঙে দেন। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এর ফলে দেশটির অনন্য আধা-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ওই সময় আমির বলেছিলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ পর্যালোচনা করার জন্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদ স্থগিত থাকবে।

সূত্র : আরব নিউজ ও মিডল ইস্ট আই