রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

  • আপডেট: ০৬:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 33

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্রাইমিয়া উপত্যকায় নোঙর করা অবস্থায় রাশিয়ার একটি সাবমেরিন তারা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কিলো ক্লাস সাবমেরিন দ্য রুস্তভ-অন-ডন বন্দর নগরী সেভাস্তপোলে শুক্রবারের ওই হামলার পর ডুবে গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন থাকা চারটি সাবমেরিনের একটি হলো এই সাবমেরিন, যা ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হামলায় ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার চারটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ওই উপত্যকা দখল করে নেয়। এর আগে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুস্তভ-অন-ডন ‘সম্ভবত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছিল।

এটি তখন সেভাস্তপোল শিপইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ছিল। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, এরপর এটিকে সংস্কার করে সম্প্রতি সেভাস্তপোলের কাছে এর সক্ষমতাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মূল্য প্রায় তিনশ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে তারা।

শনিবার কিয়েভে জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুস্তভ-অন-ডনের ধ্বংস আবারো প্রমাণ করলো যে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে কোনো রুশ জাহাজ নিরাপদ নয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে সেভাস্তপোলের রুশ নৌ বাহিনীর ওপর হামলার কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু মার্চ মাসেই দুটি জাহাজ এবং টহল নৌযানে আঘাত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিনা উস্কানিতেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার নৌবাহিনী বেশ বড় কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, তারা অন্তত ১৫টি যুদ্ধজাহাজ হয় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে অথবা ডুবিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণ সাগরে থাকা মস্কভাও রয়েছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছিল যে, বারবার হামলার কারণে মস্কো আজভ সাগর থেকে তাদের সব নৌযান প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।

Tag :

রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

আপডেট: ০৬:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্রাইমিয়া উপত্যকায় নোঙর করা অবস্থায় রাশিয়ার একটি সাবমেরিন তারা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কিলো ক্লাস সাবমেরিন দ্য রুস্তভ-অন-ডন বন্দর নগরী সেভাস্তপোলে শুক্রবারের ওই হামলার পর ডুবে গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন থাকা চারটি সাবমেরিনের একটি হলো এই সাবমেরিন, যা ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হামলায় ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার চারটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ওই উপত্যকা দখল করে নেয়। এর আগে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুস্তভ-অন-ডন ‘সম্ভবত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছিল।

এটি তখন সেভাস্তপোল শিপইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ছিল। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, এরপর এটিকে সংস্কার করে সম্প্রতি সেভাস্তপোলের কাছে এর সক্ষমতাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মূল্য প্রায় তিনশ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে তারা।

শনিবার কিয়েভে জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুস্তভ-অন-ডনের ধ্বংস আবারো প্রমাণ করলো যে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে কোনো রুশ জাহাজ নিরাপদ নয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে সেভাস্তপোলের রুশ নৌ বাহিনীর ওপর হামলার কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু মার্চ মাসেই দুটি জাহাজ এবং টহল নৌযানে আঘাত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিনা উস্কানিতেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার নৌবাহিনী বেশ বড় কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, তারা অন্তত ১৫টি যুদ্ধজাহাজ হয় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে অথবা ডুবিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণ সাগরে থাকা মস্কভাও রয়েছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছিল যে, বারবার হামলার কারণে মস্কো আজভ সাগর থেকে তাদের সব নৌযান প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।