আমরা নিরাপদে আছি,বাড়িতে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা: লিটন দাস

  • আপডেট: ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • 31

ছবি- সংগৃহীত

ছাত্রজনতার রোষানলে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর সারাদেশে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। বাদ যায়নি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাড়িও।

তবে মাশরাফীর বাড়ি পোড়ানো হলেও ভারতে সেটি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি বলে প্রচার করা হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে এবারে পুরো বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন লিটন। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছেন তার পরিবারের সবাই নিরাপদে রয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন লিটন।

পোষ্টে লিটন লিখেছেন, প্রিয় দেশবাসী, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি বিষয় অবগত করতে চাই। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন মিডিয়াতে একটি খবর প্রচার হয়েছে আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে, যার কোনো সত্যতা নেই। কেউ এইসব গুজবে কান দেবেন না। আমি এবং আমার পরিবার এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশে আমরা সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেন একসাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের একমাত্র মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। আমার দিনাজপুরবাসীসহ পুরো দেশ একে অন্যের রক্ষায় যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আমি কৃতজ্ঞ।

‘আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও আমরা সবাই একসাথে থাকবো এবং সকল ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে রাখবো এই দেশটাকে। কারণ দেশটা আমাদের সবার।,

এর আগে গত ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে ভারতের ‘হিন্দুত্ব নাইটস’ নামের একটি পেজে মাশরাফীর পুড়ে যাওয়া বাড়ির ছবির পাশে লিটন দাসের একটি ছবি কোলাজ করে পোস্ট করা হয়। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশি হিন্দু ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এই পেজে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বলে অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়ানো হয়।

একই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে ‘সুনন্দা রয়’ নামের একটি এক্স পেজে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ইনি লিটন দাস, বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশে তিনি জাতীয় নায়ক, তার বাড়ি ইসলামপন্থীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে একজন এলিট শ্রেণির হিন্দুর এই অবস্থা, তাহলে সাধারণ হিন্দুদের কী অবস্থা ভাবুন!’

Tag :

আমরা নিরাপদে আছি,বাড়িতে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা: লিটন দাস

আপডেট: ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্রজনতার রোষানলে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর সারাদেশে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। বাদ যায়নি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাড়িও।

তবে মাশরাফীর বাড়ি পোড়ানো হলেও ভারতে সেটি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি বলে প্রচার করা হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে এবারে পুরো বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন লিটন। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছেন তার পরিবারের সবাই নিরাপদে রয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন লিটন।

পোষ্টে লিটন লিখেছেন, প্রিয় দেশবাসী, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি বিষয় অবগত করতে চাই। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন মিডিয়াতে একটি খবর প্রচার হয়েছে আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে, যার কোনো সত্যতা নেই। কেউ এইসব গুজবে কান দেবেন না। আমি এবং আমার পরিবার এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশে আমরা সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেন একসাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের একমাত্র মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। আমার দিনাজপুরবাসীসহ পুরো দেশ একে অন্যের রক্ষায় যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আমি কৃতজ্ঞ।

‘আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও আমরা সবাই একসাথে থাকবো এবং সকল ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে রাখবো এই দেশটাকে। কারণ দেশটা আমাদের সবার।,

এর আগে গত ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে ভারতের ‘হিন্দুত্ব নাইটস’ নামের একটি পেজে মাশরাফীর পুড়ে যাওয়া বাড়ির ছবির পাশে লিটন দাসের একটি ছবি কোলাজ করে পোস্ট করা হয়। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশি হিন্দু ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এই পেজে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বলে অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়ানো হয়।

একই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে ‘সুনন্দা রয়’ নামের একটি এক্স পেজে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ইনি লিটন দাস, বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশে তিনি জাতীয় নায়ক, তার বাড়ি ইসলামপন্থীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে একজন এলিট শ্রেণির হিন্দুর এই অবস্থা, তাহলে সাধারণ হিন্দুদের কী অবস্থা ভাবুন!’