চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রতিবাদে ভারতে জড়ে কর্মবিরতি

  • আপডেট: ০৪:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 25

পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোতে শুধু জরুরি চিকিৎসা দেন তারা। খবর এনডিটিভির।

এর আগে সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা) হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়েছে।

ওই চিঠিতে কলকাতায় জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে ভারতের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সম্প্রদায়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়। একইসঙ্গে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের ওপর যেন কোনো ধরনের দমন-পীড়ন চালানো না হয় এবং এই অপরাধের বিচারে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিকিৎসক সংগঠনের আরেক দাবি হলো- স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা প্রোটোকল চালু। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সব স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি বিশেষ প্রটোকল চালু করতে হবে। এদিকে কর্মবিরতির ফলে কলকাতার বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বিঘ্নত হয়েছে। অসংখ্য রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভের কারণে বিপাকে পড়েছেন।

অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের লখনৌতে বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা কিং জর্জ মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে তালা দিয়ে দেয়। এ সময় রোগী ও তাদের আত্মীয়রা দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া মুম্বাইয়ের জেজে হাসপাতাল, সিওন হাসপাতাল, নায়ের হাসপাতাল ও কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে শল্যচিকিৎসার সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমেছে। রোগী ভর্তির হার কমেছে ৩৫ শতাংশ।

Tag :

চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রতিবাদে ভারতে জড়ে কর্মবিরতি

আপডেট: ০৪:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোতে শুধু জরুরি চিকিৎসা দেন তারা। খবর এনডিটিভির।

এর আগে সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা) হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়েছে।

ওই চিঠিতে কলকাতায় জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে ভারতের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সম্প্রদায়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়। একইসঙ্গে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের ওপর যেন কোনো ধরনের দমন-পীড়ন চালানো না হয় এবং এই অপরাধের বিচারে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিকিৎসক সংগঠনের আরেক দাবি হলো- স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা প্রোটোকল চালু। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সব স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি বিশেষ প্রটোকল চালু করতে হবে। এদিকে কর্মবিরতির ফলে কলকাতার বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বিঘ্নত হয়েছে। অসংখ্য রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভের কারণে বিপাকে পড়েছেন।

অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের লখনৌতে বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা কিং জর্জ মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে তালা দিয়ে দেয়। এ সময় রোগী ও তাদের আত্মীয়রা দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া মুম্বাইয়ের জেজে হাসপাতাল, সিওন হাসপাতাল, নায়ের হাসপাতাল ও কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে শল্যচিকিৎসার সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমেছে। রোগী ভর্তির হার কমেছে ৩৫ শতাংশ।