০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বসতঘর-সড়ক, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং

  • আপডেট: ০৩:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • 19

টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে পুরো নোয়াখালী। জলাবদ্ধতা রূপ নিয়েছে বন্যায়। এতে বসতঘর-সড়ক তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে মাইকিং করে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ স্থানে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী বলেন, টানা বৃষ্টি এবং মুহুরী ও ফেনী নদীর পানিতে কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলো তলিয়ে গেছে। আমরা যেহেতু ফেনীর পাশেই তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ হেলাফেলা করবেন না। রাত ৮টার মধ্যে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন। সেখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইজদি কোর্ট, নোয়াখালী অফিস কর্তৃক রেকর্ডকৃত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৪ মি. মি.। রাতভর বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় নোয়াখালী জেলার অধীন সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসছে। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বসতঘর-সড়ক, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং

আপডেট: ০৩:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে পুরো নোয়াখালী। জলাবদ্ধতা রূপ নিয়েছে বন্যায়। এতে বসতঘর-সড়ক তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে মাইকিং করে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ স্থানে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী বলেন, টানা বৃষ্টি এবং মুহুরী ও ফেনী নদীর পানিতে কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলো তলিয়ে গেছে। আমরা যেহেতু ফেনীর পাশেই তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ হেলাফেলা করবেন না। রাত ৮টার মধ্যে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন। সেখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইজদি কোর্ট, নোয়াখালী অফিস কর্তৃক রেকর্ডকৃত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৪ মি. মি.। রাতভর বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় নোয়াখালী জেলার অধীন সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসছে। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।