০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্রীষ্মে মরুভূমি, বর্ষায় ছেড়ে দেয় পানি

জামায়াত আমিরের প্রশ্ন, ভারত এ কেমন বন্ধু

  • আপডেট: ০২:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • 30

লক্ষ্মীপুরের দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জামায়াত আমির ডা: শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ শুকনা মৌসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় সময় একসাথে সব গেট খুলে দেয়। এ কেমন বন্ধু ভারত?’

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দী দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী ওই দেশ আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। গ্রীষ্মে যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসার্ত করে দেয়। গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়। আমরা অবাক।’

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা সরকার ছিল সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলতো, আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ছাড়ছে। এ হলো সিঙ্গাপুরের দৃশ্য। তারা বলত, এটা কানাডা। এ হলো কানাডার দৃশ্য। এগুলো সব ছিল মিথ্যা এবং ভোগাছ। তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলত, এ ঘরে জঙ্গি আছে। ওদের মাথায়, ওদের মগজে সব সময় জঙ্গি জঙ্গি ভাব ছিল। আসল জঙ্গি তারা। তারা মাথায় হেলমেট নিয়ে, হাতে মুগুর নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। এরা আসল জঙ্গি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র, তরুণ, যুব সমাজ তাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে, বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাংলার বুক থেকে। একটা শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করল, তাকে পালাতে হবে কেন? তারা বলত, আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠাইছে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের থেকে জালিম বিদায় করেছেন। চিরতরে যেন এ জালিমের বিদায় হয়। আর কোনো জালিমের আগমন না ঘটে। দেশ যেন সুবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক মা-বোন, ভাইয়েরা যাতে সন্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। ইজ্জত, দ্বীন, ইমান, ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। আফসোস বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ মুসলমান, তার জন্য একমাত্র সংখ্যালঘু মুসলমান হচ্ছে বাংলাদেশে। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষে ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব। এ জন্য আপনাদের, দোয়া, সাহায্য ও ভালোবাসা চাই।’

শেষে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেন জামায়াতের এ নেতা।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা দ্বীন মোহাম্মদ, সহ সেক্রেটারি মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্যা, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী, সহ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন মাহমুদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা প্রচার সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ, সরদার সৈয়দ আহমদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রহমান, শহর আমির আবু ফারাহ নিশান, শিবিরের শহর সভাপতি আরমান পাটওয়ারী, সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গ্রীষ্মে মরুভূমি, বর্ষায় ছেড়ে দেয় পানি

জামায়াত আমিরের প্রশ্ন, ভারত এ কেমন বন্ধু

আপডেট: ০২:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ শুকনা মৌসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় সময় একসাথে সব গেট খুলে দেয়। এ কেমন বন্ধু ভারত?’

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দী দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী ওই দেশ আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। গ্রীষ্মে যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসার্ত করে দেয়। গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়। আমরা অবাক।’

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা সরকার ছিল সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলতো, আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ছাড়ছে। এ হলো সিঙ্গাপুরের দৃশ্য। তারা বলত, এটা কানাডা। এ হলো কানাডার দৃশ্য। এগুলো সব ছিল মিথ্যা এবং ভোগাছ। তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলত, এ ঘরে জঙ্গি আছে। ওদের মাথায়, ওদের মগজে সব সময় জঙ্গি জঙ্গি ভাব ছিল। আসল জঙ্গি তারা। তারা মাথায় হেলমেট নিয়ে, হাতে মুগুর নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। এরা আসল জঙ্গি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র, তরুণ, যুব সমাজ তাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে, বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাংলার বুক থেকে। একটা শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করল, তাকে পালাতে হবে কেন? তারা বলত, আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠাইছে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের থেকে জালিম বিদায় করেছেন। চিরতরে যেন এ জালিমের বিদায় হয়। আর কোনো জালিমের আগমন না ঘটে। দেশ যেন সুবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক মা-বোন, ভাইয়েরা যাতে সন্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। ইজ্জত, দ্বীন, ইমান, ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। আফসোস বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ মুসলমান, তার জন্য একমাত্র সংখ্যালঘু মুসলমান হচ্ছে বাংলাদেশে। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষে ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব। এ জন্য আপনাদের, দোয়া, সাহায্য ও ভালোবাসা চাই।’

শেষে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেন জামায়াতের এ নেতা।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা দ্বীন মোহাম্মদ, সহ সেক্রেটারি মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্যা, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী, সহ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন মাহমুদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা প্রচার সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ, সরদার সৈয়দ আহমদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রহমান, শহর আমির আবু ফারাহ নিশান, শিবিরের শহর সভাপতি আরমান পাটওয়ারী, সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।