বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক বলা হয় আমিনুল হককে ২০০৩ সালে দেশের সাফজয়ী দলে গোলপোস্ট সামলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান দীর্ঘ সময় তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন। আধুনিক ক্রিকেটের এক কিংবদন্তি হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে। তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশকে কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।
সম্প্রতি গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সাকিবের মামলার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রশ্ন করা হলে আমিনুলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সাকিব তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য কিছু বয়ে আনে নাই। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমিনুল তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পুরস্কার বয়ে এনেছে। বয়ে এনেছে না! জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল।’
ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে সক্রিয় হন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে লম্বা সময় কারাগারে থাকতে হয়। যারা এখন সাকিবের প্রতি সহমর্মী হচ্ছেন, তারা আমিনুলের প্রসঙ্গে কেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন-সে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আসিফ নজরুল যোগ করেন, ‘আমিনুলকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তখন কি আপনারা প্রশ্ন করেছিলেন? আমিনুলকে তো জেলে ভরা হয়েছে। দিনের পর দিন তাকে জামিন দিচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। এই নির্বাচনে মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে আগস্টের শুরুর দিকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে অবস্থান করছিলেন সাকিব। সেখান থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি।
এদিকে হত্যা মামলার আসামি সাকিবকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) উকিল নোটিশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তবে সে উকিল নোটিশের জবাবে বিসিবি জানিয়েছে, তারা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে সাকিবকে বাদ দিতে রাজি নয়।